গাজীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২৪ ১২:৪৩ পিএম
আপডেট : ২৩ আগস্ট ২০২৪ ১২:৪৮ পিএম
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ফটো
গাজীপুরে দুই থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হককে প্রধান আসামি করে আওয়ামী লীগের আরও ১৭১ জনের নামে দুটি পৃথক মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) গাজীপুর নগরীর গাছা থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এ মামলায় ১১৫ জনের নাম উল্লেখ এবং ৩৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেন গাছা থানার পূর্ব কলমেশর এলাকার সাইফুল ইসলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. রজ্জব আলী।
গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গাছা থানার মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ২০ জুলাই তার ছেলে আরিফ বেপারীকে মামলার আসামিরা গুলি করে হত্যা করেন। মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান, গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, টঙ্গীর আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমানসহ ১১৫ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। এতে ৩৫০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।
একই দিন কাশিমপুর থানায় হত্যাচেষ্টা মামলায় প্রধান আসামি করা হয় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে। এতে ৫৬ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়। মামলাটি দায়ের করেন মহানগরীর কাশিমপুরের লতিফপুর এলাকার আমিনুলের বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. সোহেল রানা।
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাদী মো. সোহেল রানা এজাহারে উল্লেখ করেন, তিনি একটি কোম্পানির স্টেশনারি পণ্যের সেলসম্যান হিসেবে বিভিন্ন দোকানে পণ্য সরবরাহ করেন। ৪ আগস্ট বিকাল ৪টার দিকে কাশিমপুর থানাধীন চক্রবর্তী বাসস্ট্যান্ডে রাস্তার ওপর অবস্থান করছিলেন। ওই দিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র-জনতা চক্রবর্তী বাসস্ট্যান্ড অবস্থান করে বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দিতে থাকলে প্রধান আসামি আ ক ম মোজাম্মেল হকসহ অন্য আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ২০০ থেকে ৩০০ জন আওয়ামী সন্ত্রাসী বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র, রামদা, লাঠিসোঁটা নিয়ে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার ওপর আক্রমণ করে গুলি করতে থাকে। এ সময় একটি গুলি তার ডান পায়ে হাঁটুর নিচে লেগে গুলি বেরিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।