প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৪ ২৩:৪৩ পিএম
আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২৪ ২৩:৪৫ পিএম
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকায় প্রথিতযশা সিনিয়র সাংবাদিক মোরছালীন বাবলার জমি দখল করে নির্মাণকাজ শুরু করেছে একটি চক্র। সরকার পতনের পর ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি নেতা পরিচয়ে তোফাজ্জল, মোজাফফর ও তার দুই ভাতিজা জিহাদ ওরফে নূর আলম, জিসান ওরফে গোলাম রহমান ও তাদের সহযোগীরা মিলে এ নির্মাণকাজ করছে।
বাড়ির কেয়ারটেকার নুরুল ইসলাম জানান, এক সপ্তাহ ধরে বিএনপির নামধারী এসব নেতার নেতৃত্বে বালু ভরাট করে জায়গাটি দখল করে নিয়ে নেয়। রবিবার (১৮ আগস্ট) সকাল থেকে বালু-সিমেন্ট-ইট এনে সেখানে নির্মাণ কাজ শুরু করে তারা। তাদের বারবার বাধা দেওয়া হলেও আমাকে ও আমার লোকজনকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসককে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের মাধ্যমে ও মোরছালীন বাবলা বিএনপির নেতৃবৃন্দকে জানালেও কেউ সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরপর ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের লামাপাড়া এলাকায় সিনিয়র সাংবাদিক ও নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় দৈনিক যুগের চিন্তার সম্পাদক মোরছালীন বাবলার নিজস্ব জমিতে বালু ফেলে ভরাট করে দখলের পাঁয়তারা শুরু করে সন্ত্রাসী তোফাজ্জল, মোজাফফর বাহিনীর সদস্যরা। এর আগে তারা সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের কুখ্যাত সন্ত্রাসী মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজামের আশ্রয়ে ছিল। এখন ভোল পাল্টে বিএনপি নেতা পরিচয়ে জমিটি দখল শুরু করে। এর আগে বেশ কয়েকবার দখল করতে গেলেও প্রশাসনের কারণে পারেনি। জায়গাটিতে বারবার মালিকানার সাইনবোর্ড লাগালেও তোফাজ্জল, মোজাফফর বাহিনীর লোকজন তা খুলে ফেলে।
তোফাজ্জল, মোজাফফর বাহিনীর বিরুদ্ধে এলাকায় বিভিন্ন মানুষের জমি দখল করার বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, তারা সাবেক এমপি শামীম ওসমান ও তার অনুসারী সন্ত্রাসী শাহ নিজামের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। শামীম ওসমান ও শাহ নিজামের নাম ভাঙিয়ে এলাকার অসহায় মানুষের ওপর নানান অত্যাচার করত। শুধু তাই নয় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে গেলে চালানো হতো নির্যাতন। পূর্বের রাজনৈতিক পরিচয় আওয়ামী লীগের থাকলেও সরকার পতনের পরপরই এক দিনের মধ্যে ভোল পাল্টে বিএনপির নেতা পরিচয় দিতে থাকেন। আবারও শুরু করেন মানুষের প্রতি জুলুম অত্যাচার।
গত ১০ আগস্ট বালু ভরাট করে মোরছালীন বাবলার জমি দখলের সময় তোফাজ্জল, তার স্ত্রী নুরুন নাহার ও তার খালা জাহানারা বেগম দাঁড়িয়ে থেকে পর্যবেক্ষণ করেন। যাতে প্রশাসনের লোকজন না আসে, নির্বিঘ্নে শ্রমিকের মাধ্যমে বালু ভরাট করা যায়- মূলত সেজন্য পাহারা দেন তারা।
প্রসঙ্গত, জমির মালিকানার জন্য যেসব কাগজপত্র থাকা দরকার তার কোনোটিই তাদের নেই। তারা অবৈধভাবে এই জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা বারবার চালিয়ে যাচ্ছে। সাংবাদিক আবু আল মোরছালীন বাবলা এই জমির প্রকৃত মালিক। এ ঘটনায় আবু আল মোরছালীন বাবলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। অবৈধ দখলকারীদের আইনের আওতায় আনারও দাবি জানিয়েছেন তিনি।