ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৪ ১৬:৪৯ পিএম
আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২৪ ১৭:২৫ পিএম
কোটা সংস্কারকে ঘিরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর আত্মগোপনে রয়েছে পাবনার ঈশ্বরদী আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মী। এরই মধ্যে টানা ১৩ দিন আত্মগোপনে থাকার পর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আতিয়া ফেরদৌস কাকলী রবিবার (১৮ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে কার্যালয়ে আসেন। এ সময় উপজেলা পরিষদ চত্বর ঘেরাও করে বিক্ষোভ কর্মসূচি করেছে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনে অংশ নেওয়া নারী শিক্ষার্থীদের মোবাইল কেড়ে নেওয়া ও ধর্ষণের হুমকির অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও শিক্ষার্থীরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক রানা সরদার, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খানের পদত্যাগ দাবি করে। পদত্যাগ না করলে বিক্ষোভ কর্মসূচি কঠোর করার হুঁশিয়ারিও দেয় তারা।
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ব্যানারে তাসনিম মাহাবুব প্রাপ্তি (রুয়েট), মো. রাউফুল ইসলাম অন্তর (ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি), আসিফুল ইসলাম জারিফ (পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ), জারিন তাসনিম সিমি (বাকৃবি) নামে কয়েকজন সমন্বয়ক জানান, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আতীয়া ফেরদৌস কাকলী অস্ত্রধারী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে অবস্থান নিয়ে নারী শিক্ষার্থীদের হয়রানি, শিক্ষার্থীদের মোবাইল কেড়ে নিয়ে ভিডিও ডিলিটসহ ধর্ষণের হুমকিধমকি দিয়েছে। শুধু তাই নয় নানারকম দুর্নীতি ও অনিয়মের সঙ্গে তিনি প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তিনি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে যাব না।
এদিকে বিক্ষোভ কর্মসূচির একটি ভিডিওবার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আতীয়া ফেরদৌস কাকলী শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয়ে বলছেন, সব কিছুরই উত্থান-পতন রয়েছে। একদিন এ সব শিক্ষার্থীদেরও পতন হবে।
ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুবীর কুমার দাশ বলেন, শিক্ষার্থীরা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের পদত্যাগ চেয়ে একটি আবেদনপত্র জমা দিয়েছে আমার কাছে। এটা আমি মন্ত্রণালয়ে পাঠাব, পুরো প্রক্রিয়াটিতে কয়েক দিন সময় লাগবে।