আবু সাঈদ হত্যা
রংপুর অফিস
প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৪ ১২:৫৬ পিএম
আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২৪ ১৩:০২ পিএম
ফাইল ছবি
কোটা আন্দোলনে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের ছাত্র আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় সাবেক আইজিপিসহ ৭ পুলিশ কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতাসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে।
রবিবার (১৮ আগস্ট) রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাজহাট আমলী আদালতে এ মামলা করেন আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী। বিচারক মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে মেট্রোপলিটন তাজহাট থানাকে নির্দেশ দিয়েছে।
আসামিরা হলেন, এএসআই আমির আলী, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আরিফুজ্জামান, সহকারী পুলিশ কমিশনার আল ইমরান হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অফিসের কর্মকর্তা রাফিউল হাসান রাসেল, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মশিউর রহমান, লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মন্ডল, বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতি ভূষণ রায়, তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ধনঞ্জয় কুমার টগর, দপ্তর সম্পাদক বাবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শামীম মাহফুজ, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, পুলিশের সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ আরও অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৩৫ জন।
এজাহারে বলা হয়েছে, কোটা পদ্ধতি সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হওয়াতে আবু সাঈদ আসামিদের শত্রুতে পরিণত হয়। আসামিরা যোগসাজশ করে গত ১৬ জুলাই আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা করে।
আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী বলেন, আবু সাঈদের মৃত্যুর পর তার বিচার চাওয়ার মত পরিবেশ ছিল না। পরবর্তীতে ন্যায্য বিচার পাওয়ার আশ্বাস পাওয়ার পর আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। আজ মামলা করলাম। আশা করছি আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের বিচার হবে।
আইনজীবী রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, আমরা প্যানেল আইজীবীরা ১৬ জুলাইয়ের পর থেকে হয়রানিমূলক মামলার শিকার ছাত্রদের আইনি সহায়তা দিয়ে আসছি। আজ আবু সাঈদের হত্যা মামলা করা হয়েছে। আশা করছি আমরা ন্যায় বিচার পাব।
গত ১৬ জুলাই কোটা পদ্ধতি সংস্কার আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের সামনে পুলিশের গুলিতে মারা যান আবু সাঈদ। এরপর ১৭ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতি ভূষণ রায় বিশ্ববিদ্যালয় ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, সরকারী কাজে বাধা দেওয়া, একজন নিরীহ ছাত্রকে হত্যাসহ বিভিন্ন ধারায় তাজহাট থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় আবু সাঈদের মৃত্যুর বিষয় উল্লেখ করা হয় আন্দোলনকারীদের ছোড়া গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে।