লক্ষ্মীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০২৪ ২১:১১ পিএম
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানা। ফাইল ফটো
লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যুবলীগ-ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মী নিহতের ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন ফারুক মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বুধবার (১৪ আগস্ট) রাতে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এমদাদ হোসেন অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
নিহতরা হলেন, ইউপি সদস্য যুবলীগ নেতা হারুন-অর-রশিদ, ছাত্রলীগ নেতা তাওহিদ কবির রাফি, রাকিবুল হাসান সিফাত, ইউছুফ, যুবলীগ নেতা আহমেদ শরীফ, তানজীদ হায়দার রিয়াজ ও সুজন।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন ফারুক মজুমদার বলেন, ৪ আগস্ট আন্দোলনকারীদের ওপর অতর্কিত হামলা ও নির্বিচারে গুলি চালানোর পর বিক্ষুব্ধ জনতার গনপিটুনিতে ৭ জন নিহত হয়। তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ মামলা করেনি। এতে পুলিশ অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা করে।
৪ আগস্ট শহরের মাদাম ব্রিজ ও ঝুমুর এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করে। সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে আফনান পাটওয়ারী নামে এক শিক্ষার্থী মারা যান। এরপর আন্দোলনকারীরা বাজারের তমিজ মার্কেট এলাকায় এলে সাবেক পৌর মেয়র প্রয়াত আবু তাহেরের বাসার ছাদ থেকে চেয়ারম্যান টিপুর নেতৃত্বে প্রায় আড়াই ঘন্টাব্যাপি গুলি বর্ষণ করে বলে জানায় স্থানীয়রা (যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়)। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে কাউছার আহমেদ বিজয়, ওসমান গণি ও সাব্বির আহমেদ নামে আরও ৩ জন মারা যায়।
এ সময় গুলিতে শতাধিক ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা মেয়র তাহের ও টিপুর বাসভবন আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। টিপুসহ তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন পালিয়ে যায়। বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে গণপিটুনিতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৭ জন মারা যায়।