নারায়ণগঞ্জ ও সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৪ ১৯:২৭ পিএম
আপডেট : ১৪ আগস্ট ২০২৪ ১৯:৪৫ পিএম
বুধবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদীতে সিমুর বাড়িতে গিয়ে তার শিশুকন্যাকে কোলে নেন জামায়াতে ইসলামীর আমির। প্রবা ফটো
কোটাপদ্ধতি সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতায় নিহত সুমাইয়া আক্তার সিমুর দুই মাস বয়সি মেয়ে সুয়াইবার দায়িত্ব নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদীতে গত ২১ জুলাই ৬ তলা ভবনের বারান্দায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় সিমু।
বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী নতুন মহল্লায় দোয়েল চত্বরে তাদের বাড়িতে স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে এসে এই ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, আমরা এখানে এসেছি শহীদ বোন সুমাইয়ার অবুঝ শিশুকে দেখতে। যার মুখে এখনও কথা ফোটেনি। এই অবুঝ বাচ্চার এখন থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত পড়াশোনাসহ যাবতীয় দায়িত্ব আমরা নিলাম।
এলাকাবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা লুটতরাজ, চাঁদাবাজি করতে আসবে তাদের কোনো ছাড় দেবেন না। ছাড় দেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা অঞ্চল দক্ষিণ পরিচালক সাইফুল আলমখান মিলন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর আমির মাওলানা আবদুল জব্বার, জেলা জামায়াতের আমির আলহাজ্ব মমিনুল হক, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন, মহানগরী নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল কাইয়ুম, মহানগরী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মানোয়ার হোসাইন, জেলা সেক্রেটারি জাকির হোসাইন মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি মো জামাল হোসাইন, মাওলানা শিহাব উদ্দিন, ছাত্রশিবির নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সভাপতি আসাদুজ্জামান রাকিব, সেক্রেটারি ইসমাইল হোসাইন প্রমুখ।
গত ২১ জুলাই সিদ্ধিরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এদিন বিকালে মেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে সুমাইয়া আক্তার ৬ তলা ভবনের বারান্দায় যেতেই একটি গুলি এসএস পাইপ ভেদ করে তার মাথার বাম পাশে লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে। বিয়ের দুই বছরের মাথায় প্রথম সন্তানের মা হয়েছিল সুমাইয়া।