নগদ টাকার সংকট
মধ্যাঞ্চলীয় অফিস
প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২৪ ২১:৪৫ পিএম
আপডেট : ১২ আগস্ট ২০২৪ ২২:১০ পিএম
কিশোরগঞ্জে সোমবার রাতে ব্যাংকের বুথগুলোতে গ্রাহকের ভিড় দেখা যায়। প্রবা ফটো
কিশোরগঞ্জে নগদ টাকা উত্তোলন করতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ব্যাংকের বুথগুলোতে ভিড় করছেন গ্রাহকরা। রাতে বুথে প্রয়োজন অনুযায়ী টাকা না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন অনেকে।
সোমবার (১২ আগস্ট) জেলা শহরের বুথগুলো ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ব্যবসায়ীরা গ্রাহকরা জানান, ব্যাংক থেকে নগদ অর্থ ২ লাখ টাকা নির্ধারিত করায় দোকানের খরচসহ মাল কিনতে নগদ অর্থের সংকটে পড়েছেন। নিত্যদিনের খরচ ও কর্মচারীদের নানা সমস্যা মেটাতে টাকার প্রয়োজনে রাতে বুথে এসেছেন।
জেলা শহরের আখড়াবাজার মোড়ে এটিএম বুথের এজেন্ট হোল্ডারের ৭টি বুথের মধ্যে চারটি বুথেই রাত ৮টায় নগদ টাকা পাওয়া যায়নি। ফলে অন্য তিনটি বুথে প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ করা গেছে।
ব্যবসায়ী মো. সফিকুল ইসলাম জানান, তার ফ্যাক্টরিতে প্রতিদিন ৩ লাখ টাকা বিভিন্ন কাজে ব্যয় হয়। কিন্তু ইসলামী ব্যাংক থেকে নগদ ২ লাখ টাকা তোলার পর তার আরও টাকার প্রয়োজন হয়। তাই রাতে টাকা তুলতে ডাচ বাংলা ব্যাংকের বুথে আসতে বাধ্য হয়েছেন। বুথ থেকে ২০ হাজার টাকা তুলেছেন। আরও ২০ হাজার টাকা তোলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন।
নগুয়া এলাকার ফারজানা বেগম জানান, আগামীকাল দুপুরের আগেই কেনাকাটার জন্য তার ৩০ হাজার টাকার দরকার। তাই রাত সাড়ে আটটায় তিনি বুথে এসেছেন। কিন্তু রাতে বুথগুলোতে এতবেশি লোকের ভিড় দেখে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষের দৈনন্দিন খরচ মেটাতে চলমান ব্যবস্থায় নগদ টাকার কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে। রাত ৯টায় বুথে টাকা না পাওয়ায় অনেক গ্রাহক হতাশা প্রকাশ করছেন।
কিশোরগঞ্জ সোনালী ব্যাংক স্টেশন রোড শাখার ম্যানেজার মো. আলমগীর জানান, মাঝারি ব্যবসায়ী ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ ব্যাংকে নগদ টাকা রাখতে আগ্রহী। তাদের টাকা ব্যাংকগুলোতেই জমা থাকে। আবার প্রয়োজনমতো টাকা তুলে চলতি ব্যয় সংকুলান করেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে হঠাৎ করে সবার টাকার প্রয়োজন পড়ায় সবাই হুমড়ি খেয়ে বুথগুলোতে ভিড় করেছেন।