নওগাঁ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২৪ ১৫:১২ পিএম
আপডেট : ১২ আগস্ট ২০২৪ ১৭:৫০ পিএম
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় গত শুক্রবার ভোরে গয়েশপুর গ্রামে তিন হাজার কলাগাছ কেটে ফেলে দুর্বৃত্তরা। প্রবা ফটো
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার গোবরচাপাহাট সংলগ্ন গয়েশপুর গ্রামে রুবেল হোসেন নামে এক বর্গাচাষির প্রায় ১০ বিঘা জমির কলাবাগানের ৩ হাজার গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে চাষি রুবেলের পক্ষে জমির মালিক জহুরুল ইসলাম স্থানীয় মাহামুদুল হাসান টিটু ও রাঙ্গা চৌধুরীকে অভিযুক্ত করে স্থানীয় সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে অভিযোগ করেন।
সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি দল ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, সেই বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। অভিযোগের বিষয়ে থানা পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ ঘটনা নিয়ে রবিবার (১১ আগস্ট) বদলগাছী থানায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে বৈঠকে জমির মালিক জহুরুল ইসলাম উপস্থিত না থাকলেও অভিযুক্তরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে চাষিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ভুক্তভোগী চাষি রুবেল হোসেন বলেন, গত শুক্রবার ভোররাতে পাশের গয়েশপুর গ্রামের মাহমুদুল হাসান টিটু ও রাঙ্গা চৌধুরীর নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন আমার বাগানে হামলা চালিয়ে প্রায় তিন হাজার কলাগাছ কেটে সাবাড় করেছে। একই সঙ্গে জমির পাশে অবস্থিত কয়েকটি দোকানঘরও ভাঙচুর করে।
স্থানীয়রা জানায়, বদলগাছী উপজেলার চাঁপাইনগর গ্রামের বাসিন্দা জহুরুল ইসলাম ১৯৮২ সালে একই এলাকার ফজলুল করিম চৌধুরীর কাছ থেকে মাহমুদপুর মৌজার ৩ দশমিক ১৬ একর (প্রায় ১০ বিঘা) জমি কেনেন। কয়েক বছর ধরেই রুবেল হোসেন জমিটি ভাড়া নিয়ে কলার চাষাবাদ করছেন। কিন্তু মাহমুদুল হাসান টিটু জমিটি নিজেদের বলে দাবি করছেন।
অভিযুক্ত টিটু নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ওয়ারিশান সূত্রে এই জমির মালিক আমরা। আদালতে মামলা করেও তিনি হেরে গেছেন। এরপরও জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য বারবার বলা হলেও তিনি নানা টালবাহানার আশ্রয় নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে জহুরুল ইসলাম বলেন, আমি ক্রয় মূল্যে ওই জমি বিগত ৪০ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছি। সম্প্রতি তারা ওয়ারিশ সূত্রে জমির মালিকানা দাবি করছে। কলাবাগান কেটে ফেলার বিষয়ে থানায় বৈঠক হলেও অসুস্থতার কারণে আমি উপস্থিত থাকতে পারিনি। তবে ক্ষতি চাষিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে জানতে পেরেছি।
এ বিষয়ে বদলগাছী থানার ওসি মাহাবুবুর রহমান বলেন, জমির মালিক জহুরুল না এলেও তার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। অভিযুক্তরা স্থানীয়ভাবে নিরূপণ করে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ পূরণ দেওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা বিচারাধীন। তাই এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে না।