ঝিনাইদহে ৬ জন নিহত
ঝিনাইদহ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০২৪ ২১:৫৬ পিএম
আপডেট : ০৫ আগস্ট ২০২৪ ২২:০৭ পিএম
ঝিনাইদহ জেলা শহরের পায়রা চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম হীরণের মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়। ছবি : ভিডিও থেকে নেওয়া।
ঝিনাইদহে বিক্ষুদ্ধ জনতার হামলায় ও আগুনে পুড়ে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম হীরণসহ ৬ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ঝিনাইদহ শহরে হামলায় ৪ জন ও কালীগঞ্জে আগুনে পুড়ে ২ জন মারা গেছেন। হীরণের মরদেহ জেলা শহরের পায়রা চত্বরে ঝুলিয়ে রাখতেও দেখা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, সোমবার বিকালে শহরের আদর্শ পাড়ায় বিক্ষুদ্ধ জনতা জেলা সদরের ৯ নম্বর পোড়াহাটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম হিরণের বাড়িতে হামলা করে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে পুড়ে চেয়ারম্যানসহ ৩ জন নিহত হয়। পরে শহীদুল ইসলামের মরদেহ জেলা শহরের পায়রা চত্বরে রাত পর্যন্ত ঝুলিয়ে রাখা হয়।
একই সময় চেয়ারম্যানের গাড়িচালক আক্তার হোসেন গণপিটুনিতে মারা যান। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৯ জন। যাদের সবাইকে ঝিনাইদহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৬ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত বাকি দুজনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
এদিকে বিকালে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের ঢাকাল পাড়ায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে দুই কিশোর নিহত হয়েছে। নিহত একজনের নাম রাব্বি হোসেন। আর একজনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করা যায়নি।
এদিকে বিকালে সেনাপ্রধানের ভাষণের পর জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় ছাত্রজনতার ঢল নামে। তারা রাস্তায় এসে বিজয় মিছিল করতে থাকে। অনেকে মিষ্টি বিতরণ করে, নামাজ আদায় করে।
এ সময় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম অপুর বাসভবনে হামলা চালিয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কোটচাঁদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুন্নেছা মিকি, পৌর মেয়র সহিদুজ্জামানের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় জেলা উপজেলা শহরের রাস্তায় রাস্তায় আগুন জ্বলতে দেখা যায়।
ঝিনাইদহে চলমান কারফিউকে উপেক্ষা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা সকাল থেকেই রাস্তায় নেমে আন্দোলন চালিয়ে যায়। তারা বেলা ১১টা থেকে বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে শহরে ঢুকে পোস্ট অফিস মোড়ে অবস্থান নেয়। এ সময় তাদের হাতে বিভিন্ন ধরনের ব্যানার ফেস্টুন লক্ষ করা যায়। এর সঙ্গে লাঠিসোটা নিয়ে তারা খণ্ড খণ্ড মিছিলে শহরে অবস্থান নেয়। রাস্তায় বাঁশসহ বেঞ্চ পেতে মূল শহরে ঢোকার সবগুলো রাস্তা আটকে দেয় তারা।
রাতে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শহরে হাজার হাজার মানুষের আনন্দ মিছিল করতে দেখা গেছে।