বগুড়া অফিস
প্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০২৪ ২১:৩১ পিএম
আপডেট : ০৫ আগস্ট ২০২৪ ২২:১২ পিএম
বগুড়ায় সদর থানা ভবন এবং সদর পুলিশ ফাঁড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। লুট করেছে অস্ত্রশস্ত্রও। তবে আগুন দেওয়ার আগে সেনা সদস্যরা থানা থেকে পুলিশ সদস্যদের সরিয়ে নেওয়ায় কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
এ ছাড়া জেলার সোনাতলা, কাহালু ও দুপচাঁচিয়াসহ কয়েকটি উপজেলা সদরে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। শহরে বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপুর বাসভবনে ফের আগুন দেওয়া হয়েছে। হামলা চালানো হয়েছে আওয়ামী লীগের প্রায় ডজনখানেক নেতার বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে।
জানা গেছে, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে জমায়েত হতে শুরু করে জিরো পয়েন্ট সাতমাথায় যাওয়ার জন্য। তখন পুলিশ শুধু থানা ভবনের সামনেই অবস্থান নিয়ে ছিল। ১টার দিকে সেনাপ্রধানের ভাষণ দেওয়ার খবর প্রচার হলে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথায় গিয়ে হৈ হৈ রৈ রৈ শেখ হাসিনা গেল কই স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় সেখানে মোতায়েন থাকা সেনা সদস্যরা শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণে রাখে।
অপরদিকে শহরের উত্তর দিক থেকে আসা শিক্ষার্থীরা থানা ভবনের সামনে দিয়ে জিরো পয়েন্ট সাতমাথার দিকে যাওয়ার সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দেয়। তখন পুলিশ সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ‘ভি’ চিহ্ন দেখাতে থাকেন। তারপরও বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। পুলিশ এ সময় টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে। এতে বিক্ষোভকারীরা কিছুক্ষণের জন্য ছত্রভঙ্গ হলেও ফের থানার সামনে গিয়ে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। তখন পুলিশ আবারও চড়াও হয়।
প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে এ অবস্থার চলার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সেনা সদস্যরা এসে পুলিশ সদস্যদেরকে থানা থেকে সরিয়ে নেন। তারা চলে যাওয়ার পর পরই বিক্ষুব্ধ জনতা থানার ভেতর ঢুকে পড়ে। এ সময় বেশ কয়েকটি অস্ত্রশস্ত্রও লুট করা হয়। পরে আগুন দেওয়া হয়। আগুনের কারণে কিছুক্ষণ পর পর থানা ভবনের ভেতরে থাকা গোলা-বারুদ প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরিত হতে শুরু করে।
বগুড়ার পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, আগুন দেওয়ার আগেই পুলিশ সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, শহরের পুলিশ প্লাজাতেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে।