ফেনী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০২৪ ২০:৫২ পিএম
সোমবার বিকালে ফেনী পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে একটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। প্রবা ফটো
এক দফা দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে করে দেশ ত্যাগের খবর জানাজানি হওয়ার পরপরই ফেনীর সর্বত্র ছাত্র জনতা ও সাধারণ মানুষ আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়ে ৷ এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতার একটি অংশ আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি-অফিসে হামলা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে।
সোমবার (৫ আগস্ট) বিকাল ৩টার দিকে হাজার হাজার মানুষ শহরের রাস্তায় রাস্তায় বাজী ফুটিয়ে আনন্দ উৎসব করে। এসময় বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদেরকেও এ উল্লাসে অংশ নিতে দেখা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা গেছে, বিকালে বিক্ষুব্ধ জনতার একটি অংশ শহরের কলেজ রোডের ফেনী পৌরসভা কার্যালয়ে হামলা-ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় ফেনী শহরের চাড়িপুরে আওয়ামী লীগ অফিস এবং নেতাদের বসতবাড়িতে হামলা-ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এছাড়াও বিক্ষুব্ধ কিছু যুবক শহরের মাস্টার পাড়ায় বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীর ৩টি বহুতল ভবন, একটি বাগানবাড়ি ও গরুর খামারে হামলা-ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।
এদিকে শহরের বাঁশপাড়া এলাকায় ফেনী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফেনী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীলের কার্যালয়ে হামলা-ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাট করে। মাস্টার পাড়ায় ফেনী পৌরসভার কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা খোকন হাজারীর কার্যালয়েও অগ্নিসংযোগ করা হয়। শহরের স্টেশন রোড়ে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, মিজান রোডের ডায়াবেটিক হাসপাতালে হামলা-ভাংচুর, শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কে লার্জফার্মা নামের একটি ঔষধ দোকানে ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়।
সোনাগাজী, ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরামে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়সহ আরও নেতা-কর্মীর বাড়িতে হামলার খবর পাওয়া গেলেও বিস্তারিত জানা যায়নি।