লক্ষ্মীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০২৪ ১৮:৫৪ পিএম
সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপুর বাসায় আগুন দেওয়া হয়। প্রবা ফটো
লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় ১২ জন মারা গেছে। এরমধ্যে ৮ জন ছাত্রলীগ-যুবলীগের ও ৪ জন আন্দোলনকারী। এছাড়া আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপুর বাসা থেকে ২৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুরে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) অরুপ পাল নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন, রায়পুর উপজেলার আবদুল গণির ছেলে ওসমান গণি, সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর গ্রামের কাওসার ওয়াহেদ, ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে ছাবির হোসেন। এছাড়া আফনান পাওয়ারী নামের এক শিক্ষার্থী আহত অবস্থায় ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যায়। তার বাড়ি জেলা শহরের পৌর বাস টার্মিনাল এলাকায়। ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা হলেন, তাওহিদ কবির রাফি, আকিবুল হাসান সিফাত, হারুনুর রশিদ, আহমেদ শরীফ, মো.রাসেল ও অজ্ঞাত ৩ জন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রবিবার (৪ আগস্ট) রাত ২টার দিকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সমঝোতা করে চেয়ারম্যান টিপুর বাসার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগেই তাদের দুটি ভবনের ৩তলা পর্যন্ত সব মালামাল পুড়ে যায়। এনআরবিসি ব্যাংকের উপশাখা পুড়ে গেছে। একই দিন দুপুর ১২টায় মাদাম ব্রিজ এলাকায় ও দুপুর ২টার দিকে তমিজ মার্কেট এলাকার বাসা থেকে আন্দোলনকারীদের ওপর টিপুর নেতৃত্বে গুলি চালানো হয়।
এদিকে আন্দোলনকারীদের দেওয়া আগুনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়নের বাসার নিচতলা ও পঞ্চম তলা পুড়িয়ে দেয়। পাশে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেলের বাসায় আগুন দেয় আন্দোলনকারীরা।