সিলেট অফিস
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৪ ২০:৫৯ পিএম
আপডেট : ০৩ আগস্ট ২০২৪ ২২:১৬ পিএম
সিলেটে পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। শনিবার (৩ আগস্ট) বিকাল ৫টার দিকে নগরের চৌহাট্টা এলাকায় সংঘর্ষের শুরু হয়। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছুড়েছে পুলিশ। সংঘর্ষে ৩০ জনের মতো আহত হয়েছে। সন্ধ্যা ৭টার দিকেও থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছিল।
পুলিশ জানায়, বিকাল ৫টার দিকে আম্বরখানার দিক থেকে শতাধিক যুবক চৌহাট্টার দিকে একটি মিছিল নিয়ে আসে। চৌহাট্টা পয়েন্টের কাছে আসামাত্র পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে তারা। এ সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।
তবে আন্দোলনকারীরা বলেন, পুলিশ তাদের কর্মসূচি ভণ্ডুল করতে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। এতে দৈনিক শ্যামল সিলেট পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ও বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট সামছুজ্জামানসহ ছাত্র-জনতার অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে।
দৈনিক শ্যামল সিলেট পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক আব্দুল মুকিত বলেন, সামছুজ্জামানের শরীরে ছররা গুলির চিহ্ন রয়েছে। তবে তিনি শঙ্কামুক্ত আছেন।
জানা গেছে, এর আগে দুপুর ১টা থেকে নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় জড়ো হতে থাকেন বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেন অভিভাবক ও সাধারণ জনতা। আন্দোলনকারীদের ঘিরে অবস্থান নেয় পুলিশও। দুপুর আড়াইটার দিকে আন্দোলনকারীরা বিভক্ত হয়ে চৌহাট্টার পাশাপাশি জিন্দাবাজার এলাকার বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেয়। আন্দোলনকারীরা ছড়িয়ে পড়ে চৌহাট্টা, দরগাহ মহল্লা, রিকাবীবাজার, মীরবক্সটুলা ও জিন্দাবাজার এলাকার মোড়ে মোড়ে। তখন পুলিশের একটি দলও জিন্দাবাজার পয়েন্টে এসে অবস্থান করে। পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মুখোমুখি অবস্থানে জিন্দাবাজার এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেন। এ ছাড়া পথচারী ও ক্রেতারা ছুটাছুটি শুরু করে। তবে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আন্দোলনকারীরা নগরীর প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজার দখলে নেয়।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, চৌহাট্টা ও দরগাহ মহল্লা এলাকায় থেমে থেমে সংঘর্ষ হয়েছে। আমাদের পুলিশের অন্তত ৪/৫ জন সদস্য আহত হয়েছে।
কেউ আটক হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন ঝামেলায় আছি। সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না, পরে জানাচ্ছি।