গাজীপুরে দুই মহাসড়কে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, পুলিশের গাড়িতে আগুন

গাজীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা ও এর আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছেন। এ ছাড়া জেলার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকায়ও বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। 

শনিবার (৩ আগস্ট) সকালে মাওনায় বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় সেখানকার পুলিশ বক্স এবং দুটি পুলিশের গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।

এদিকে বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে গাজীপুরের বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আন্দোলন শুরু করে। এ সময় তারা পুলিশকে উদ্দেশ করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় কিছু যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্বঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা চৌরাস্তার পল্লী বিদ্যুত মোড়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে সরকারদলীয় কর্মী-সমর্থকরা মাওনা চৌরাস্তার ফ্লাইওভারের নিচে অবস্থান নিলে উত্তেজনা দেখা দেয়। কিছু সময় পর শিক্ষার্থীরা লাঠিসোঠা হাতে মিছিল নিয়ে মাওনা ফ্লাইওভার এলাকায় যান। এ সময় শিক্ষার্থীরা পুলিশ ও সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দেন। পরে তারা পল্লী বিদ্যুত মোড়ে ফিরে যান।

এর কিছু সময় পর আওয়ামী লীগ সমর্থিত নেতাকর্মীরা মাওনা ফ্লাইওভারের নিচে অবস্থান নেয় এবং খণ্ড খণ্ড মিছিল বের করেন। ফের ছাত্ররা মিছিল নিয়ে মাওনা চৌরাস্তায় আসেন। এ সময় মাওনা হাইওয়ে, গাজীপুর জেলা পুলিশ, শ্রীপুর থানা পুলিশের তিনটি বক্সে ভাঙচুর চালানো হয়। গাজীপুর জেলা পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়া হয়। দুটি পুলিশের গাড়িতে আগুন দেওয়াসহ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়।

অপরদিকে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল থেকেই বিভিন্ন স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থী গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ‘শোক মিছিল’ পালন করতে চন্দ্রা এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। এদিকে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিপুল সংখ্যাক পুলিশ অবস্থান নেয় চন্দ্রা যাত্রী ছাউনির সামনে। শিক্ষার্থীরা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উভয়দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর ১২টার দিকে চন্দ্রা এলাকায় বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল পৌঁছালে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। এ সময়ে ১০-১২টি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়।

এ ছাড়াও গাজীপুরের শিমুলতলী এলাকায় অবস্থিত গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন।