বেতাগী (বরগুনা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২৪ ২২:৪৯ পিএম
নিহত লিটন মাতুব্বর। প্রবা ফটো
টগবগে যুবক লিটন মাতুব্বর সংসার পাতেননি। ঢাকায় কাজ করে গ্রামে পরিবারের অর্থের জোগান দিতেন। ৩০ বছর বয়সে থেমে গেছে তার এই পথচলা। তাকে হারিয়ে মা-বাবাসহ ছয় সদস্যের পরিবারের সঙ্গী এখন কেবলই কান্না।
লিটন মাতুব্বরের বাবা তৈয়ব আলী কান্নাজড়িত কণ্ঠে প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘মোরে অ্যাহন কেডা ওষুধ কিইন্যা দিব। মোরে না কইয়া মোর পোলাডা এই রহম মরবে কোনো সোমায়ই ভাবি নাই।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় রাজধানীর বাড্ডায় ১৮ জুলাই নিহত হয়েছেন লিটন মাতুব্বর। বাড্ডায় ভাড়া বাসায় থেকে দীর্ঘদিন টাইলস মিস্ত্রির কাজ করে আসছিলেন তিনি।
লিটনের বড় ভাই বশির মাতুব্বর জানান, গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার পর লিটনকে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরে পুলিশ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরদিন পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করলে বাড়ি নিয়ে এসে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আহমদ জানান, সরকারি বরাদ্দ পেলে পরিবারটিকে সহায়তা করা হবে।