ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২৪ ২১:৩৯ পিএম
আপডেট : ৩১ জুলাই ২০২৪ ২১:৫৩ পিএম
ভৈরব রেলওয়ে থানার আওতাধীন নরসিংদীর বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়া ৪টি ট্রেনে ভাঙচুরসহ অগ্নিসংযোগ মামলায় ৩৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। বুধবার (৩১ জুলাই) ভৈরব রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলীম হোসেন সিকদার জানান, রেলওয়ে পুলিশ ও জেলা পুলিশের যৌথ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
রেলওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ জুলাই নরসিংদীর বাসাইলে দুষ্কৃতকারীরা কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৫০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে। এ মামলায় ২২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১৯ জুলাই ভৈরব রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের ২টি বগি ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় ভৈরব রেলওয়ে জংশন স্টেশন মাস্টার আবু ইউসুফ ২৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এতে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই দিনে নরসিংদীর খানাবাড়ি স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করা হলে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিনই দৌলতকান্দি স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনে ভাঙচুর করে দুষ্কৃতকারীরা। এ ঘটনায় স্টেশন মাস্টার ২৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি আলীম হোসেন সিকদার বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে দুষ্কৃতকারীরা ভৈরব-ঢাকা রেলওয়ে এলাকায় সহিংসতায় ভৈরব ও নরসিংদীর বিভিন্ন স্টেশনে ৪টি ট্রেন আটকে পড়ে। ১৮ জুলাই ১টি ও ১৯ জুলাই ৩টি ট্রেনে ভাঙচুরসহ অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় রেলওয়ে থানায় পৃথক ৪টি মামলায় ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।