সেকান্দর আলম বাবর, বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম)
প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৪ ১৮:৪৮ পিএম
আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২৪ ১৮:৪৯ পিএম
জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলে আর বৃষ্টির পানির জলাবদ্ধতায় প্রায় দিনই পার করতে হয় চট্টগ্রামের বোয়ালখালী পৌরসভার উত্তর গোমদন্ডীর ফকিরপাড়ার প্রায় ৫০০ পরিবারকে। বছরের পর বছর কেটে গেলেও এ সমস্যার সমাধান হচ্ছে না বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের দাবি জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত রাস্তায় একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হোক।
স্থানীয়রা জানান, কর্ণফুলি থেকে ছন্দারিয়া খালের শাখা খালটি চলে গেছে উত্তর গোমদন্ডী আর পশ্চিম কধুরখীলকে আলিঙ্গন করে। নদীর নিকটবর্তী হওয়াতে জোয়ার-ভাটার প্রবল স্রোতে এ খালের পাড়ের মানুষের দুর্দশার শেষ নেই। ঘরবাড়ি, ফসলিজমি আর রাস্তাঘাট বর্ষা কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ডুবে যাওয়া নিয়মিত ঘটনা। তার ওপর যোগ হয়েছে অপরিকল্পিত সড়ক নির্মাণের ফলে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকা। বৃষ্টি কিংবা জোয়ারের পানিতে উত্তর গোমদন্ডীর ফকিরপাড়া ও পার্শ্ববর্তী এলাকার এখন বড় সমস্যা জলাবদ্ধতা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পশ্চিম কধুরখীল পাঠানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু হয়ে উত্তর গোমদন্ডী-পাঠানপাড়া প্রায় দুই কিলোমিটারের সড়কটি শেষ হয়েছে উত্তর গোমদন্ডী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এসে। সড়কের প্রায় ৫০০ মিটার রয়েছে ছন্দারিয়া খালের পাশে। সড়ক নির্মাণের সময় খাল পাড়ে রিটার্নিং ওয়াল দেওয়া হলেও পানি চলাচলে নির্মাণ করা হয়নি কোনো কালভার্ট। ফলে পূর্ব ও দক্ষিণ পাড়ের ফকির পাড়া ও পার্শ্ববর্তী এলাকাটি থেকে বর্ষায় বা জোয়ারে ওঠা পানি খালে নেমে যাওয়ার কোনো পথ নেই। এতে প্রতি বছর একাধিকবার জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ পোহাতে হয় স্থানীয়দের।
এ নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, এখানে একটি আইল ছিল। বর্তমানে পিচঢালা রাস্তা হয়েছে। রাস্তা হওয়াতে উপকার হলেও, বর্ষা বা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে আমাদের কষ্টের সীমা থাকে না। এবার জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়াতে সহজে জনপদে ঢুকে পড়েছে, ভাটার সময় পানি নামতে পারছে না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ফকিরপাড়ার পুলের উত্তরে নয়াহাটের মুখ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সড়কটি পানির তোড়ে ভেঙে গেছে। ফকিরপাড়ার পানি প্রবল বেগে রাস্তা ছিন্নভিন্ন করে খালে পড়ছে। এতে বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল।
উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী ফারুক হোসেন বলেন, রাস্তাটির নির্মাণ পরিকল্পনায় কালভার্ট ছিল না। এখন কালভার্ট নির্মাণ করা জরুরিÑ গত কয়েক বছরে তা অনুধাবন করছি। রাস্তাটি পৌরসভাকে বুঝিয়ে দিয়েছি। পৌরসভা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে।
জানতে চাইলে পৌর মেয়র জহুরুল ইসলাম জহুর বলেন, ইতোমধ্যে ভাঙা অংশ মেরামতের ব্যবস্থা নিয়েছি। কালভার্ট কোথায় কোথায় নির্মাণ করা যায়, তার প্রকল্প করতে পৌর প্রকৌশলীকে নির্দেশনা দিয়েছি।