কক্সবাজার অফিস
প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২৪ ২৩:১৬ পিএম
কক্সবাজারের পর্যটন জোন হিসেবে পরিচিত কলাতলীতে ছোট-বড় পাঁচ শতাধিক আবাসিক হোটেল, মোটেল ও গেস্ট হাউস রয়েছে। এই জোনের ব্লক-এ একটি উপসড়ক। যে উপসড়কটি আধা কিলোমিটার নালার ওপরে। আর সেখানে ১৪৫ প্রতিষ্ঠানের অবৈধ স্থাপনা পেয়েছে কক্সবাজার পৌর পরিষদ।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) কক্সবাজারে জলাবদ্ধতা নিরসনে নালার ওপর নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে পরিচালিত অভিযানের তৃতীয় দিনে এ তথ্য জানান ওয়ার্ড কাউন্সিলর এমএ মঞ্জুর।
তিনি জানান, সম্প্রতি টানা বৃষ্টি জেলাব্যাপী ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। যেখানে কলাতলী পর্যটন জোনটির পুরোটাই পানিবন্দি হয়ে পড়ে। পৌরসভার উচ্ছেদ অভিযানের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার সকালে কলাতলী এলাকায় আসে পৌর কর্তৃপক্ষ। অভিযান এ ব্লক দিয়ে শুরু হয়েছে। এই ব্লকটির আধা কিলোমিটার উপসড়কের দুইপাশে ১৫০টির মতো আবাসিক হোটেল রয়েছে। এর মধ্যে ১৪৫টি প্রতিষ্ঠানই নালার ওপর অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে। কেউ তাদের প্রতিষ্ঠানের জেনারেটর রুম, কেউ পান বা চায়ের দোকান, আবার কেউ কেউ রেস্তোরাঁর নাশতা তৈরির ঘর করেছে। এসব স্থাপনা উচ্ছেদ চলছে ও অব্যাহত থাকবে।
কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ এ সময় জানান, কক্সবাজারকে পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে নালা দখল মুক্ত জরুরি। এতে পানি নিষ্কাশনের প্রতিবন্ধকতা দূর হবে। আমরা পৌরসভার কাজে সহায়তা করছি।
গত বুধবার রাত থেকে কক্সবাজারে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। শুক্রবার পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এই বৃষ্টিতে কক্সবাজার জেলাজুড়ে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। শহরের প্রধান সড়ক, উপসড়ক তলিয়ে বসতবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকে পড়ে পানি। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত রবিবার থেকে চলে উচ্ছেদ অভিযান।
পৌর মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী বলেন, কক্সবাজার শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোট ৫টি নালা। এই নালা দখলকারী হিসেবে জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে গত কয়েক বছর আগে একটি তালিকা তৈরি হয়েছে। যে তালিকা তৈরির কাজে সিনিয়র সাংবাদিক জেলা বিশিষ্টজনরা ছিলেন। ওই তালিকাটি ধরেই অভিযান শুরু হয়েছে। নালা আগের অবস্থানে না ফেরা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।