রংপুর অফিস
প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২৪ ২১:০২ পিএম
আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৪ ২১:১০ পিএম
নিহত আবু সাঈদ। ফাইল ফটো
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে কোটা আন্দোলনকারী ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ছাত্র আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রংপুর। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাত ৮টা পর্যন্ত নগরীর লালবাগ, পার্কের মোড়, মডার্ন মোড় এলাকায় শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় এসব সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নগরীতে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দশ প্লাটুন বিজিবি চাওয়া হয়েছিল। চার প্লাটুন দেওয়া হয়েছে। পুলিশের সাঁজোয়া যান, বিজিবির সদস্যরা নগরীর মডার্ন মোড়ে অবস্থান নিয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরতদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের মধ্যে বেরোবির ইংরেজি ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হন। তিনি জেলার পীরগঞ্জের রাবনপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে বেরোবির কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শহরের লালবাগ এলাকা থেকে ক্যাম্পাসের দিকে যায়। এরপর ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। তখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছোড়ে।
আবু সাঈদের নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে বিকালে নগরীর কামারের মোড় এলাকায় একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা। এরপর বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় গেটের তালা ভেঙে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। সেখানে বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষে রাত আটটায় দিনের কর্মসূচি সমাপ্তি ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। কাল সকাল ১০টা থেকে ফের কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা। তবে নগরীর বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা এখন পর্যন্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
এদিকে আবু সাঈদের মৃত্যুতে সন্ধ্যায় জাতীয় ছাত্র সমাজের নেতাকর্মীরা নগরীর সেন্ট্রাল রোড থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। এ সময় আবু সাঈদের নিহতের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে রংপুর মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন বলেন, বিজিবি-পুলিশ একসঙ্গে মাঠে কাজ করছে। পুলিশ নগরীতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।