চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০২৪ ১৮:৫৯ পিএম
আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২৪ ১৯:৩৩ পিএম
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও আনোয়ারায় পৃথক ঘটনায় ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে দুই যুবককে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (১৪ জুলাই) সকালে আনোয়ারার শোলকাটা ও শনিবার (১৩ জুলাই) রাতে সাতকানিয়ার কালিয়াইশ ইউনিয়ন এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।
এরমধ্যে আনোয়ারায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মো. জালাল নামে এক যুবলীগ নেতাকে হত্যা করা হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানিয়েছে, মাছের ঘের নিয়ে বিরোধের জেরে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হতে পারে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিহত জালাল আনোয়ারা উপজেলার জুইদণ্ডী ইউনিয়নের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা বলে জানা গেছে। গ্রেপ্তার হওয়া ছৈয়দ আহমদ আনোয়ারার জুইদন্ডীর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের খলিলুর রহমানের ছেলে। জুইদণ্ডীর পশ্চিমপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহায়েল আহমেদ বলেন, মাছের ঘের ও এলাকায় আধিপাত্য বিস্তার নিয়ে জালালের সঙ্গে বিরোধ ছিল একটি পক্ষের। তা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে পাল্টা-পাল্টি মামলাও আছে। এর জের ধরে মাছ বিক্রি করতে যাওয়ার সময় তার গাড়ি আটকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জালালের মরদেহ উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ প্রসঙ্গে চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক বলেন, ‘ছুরিকাঘাতে আহত জালাল নামে এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
এদিকে, হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আনোয়ারা থানার ওসি সোহায়ল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি ঘটনাস্থলেই ছিলেন। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
অন্যদিকে, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে ইব্রাহিম খলিল নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ জুলাই) দিনগত রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের দোহাজারী সেতুর উত্তর পাশে এই ঘটনা ঘটে।
হত্যার শিকার হওয়া ইব্রাহিম খলিল বান্দরবানের লামা উপজেলার ইয়াংছার ছমুর মুখ এলাকার বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সাতকানিয়া উপজেলার কালিয়াইশের মৌলভীর দোকান এলাকায় দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার বলেন, দোহাজারী বাসস্টেশন থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে সাতকানিয়ার দিকে যাচ্ছিলেন খলিল নামে এক ব্যক্তি। অটোরিকশাটি দোহাজারী সেতু এলাকায় পৌঁছালে একটি মোটরসাইকেল করে এসে ছিনতাইকারীরা গাড়িটি গতিরোধ করে অটোরিকশাচালক ও ইব্রাহিম খলিলকে মারধর করেন। এসময় ছিনতাইকারীরা মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এতে খলিল বাধা দিলে ছিনতাইকারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে তার বুকে ছুরিকাঘাত করেন। পরে অটোরিকশা চালকসহ স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক খলিলকে মৃত ঘোষণা করেন।