নোয়াখালী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০২৪ ১৭:৫৩ পিএম
আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২৪ ১৮:৪১ পিএম
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে জেলের জালে দুই কেজি ওজনের একটি ইলিশ মাছ ধরা পড়েছে। পরে মাছঘাটে ইলিশটি আনা হলে সর্বোচ্চ দাম হাঁকিয়ে পাঁচ হাজার ২০০ টাকায় কিনে নেন সৌরভ বেপারী নামে এক ব্যবসায়ী। এ সময় মাছটি দেখতে মাছঘাটে ভিড় জমায় স্থানীয় ও দর্শনার্থীরা।
শনিবার (১৩ জুলাই) রাত ৮টার দিকে উপজেলার চর ঈশ্বর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাতান খাল বউ বাজার মাছঘাটে ইলিশটি নিলামে বিক্রি করা হয়।
জানা গেছে, ভোলার দৌলত খাঁ এলাকার বিল্লাল মাঝি মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে এই ইলিশ মাছটি পেয়েছেন। তারপর তিনি চর ইশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হালিম আজাদের মৎস্য আড়তে নিয়ে আসেন। আবদুল হালিম আজাদ নিলামের ডালে দিলে মাছটি ৫ হাজার ২০০ টাকায় কিনে নেন সৌরভ বেপারী নামে একজন। এরপর মাছটির সঙ্গে ছবি তুলতে স্থানীয় ও দর্শনার্থীরা ভিড় জমান।
জেলে বিল্লাল মাঝি বলেন, ‘নদীতে ইলিশ কম পাওয়া যাচ্ছে। তবে অল্প হলেও এখন জেলেদের জালে বড় আকারের ইলিশ ধরা পড়ছে। শুক্রবার রাতে আমি নদীতে জাল ফেলেছি। শনিবার দুপুরে জাল উঠিয়েছি। এতে একটি দুই কেজি ওজনের বড় একটি ইলিশ ধরা পড়ে। পরে বাতান খাল বউ বাজার মাছঘাটে নিয়ে আড়তে মাছটির ডাক উঠানো হয়। আলহামদুলিল্লাহ’ আমি ভালো দাম পেয়েছি।’
চর ঈশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হালিম আজাদ বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে এক কেজি ওজনের ইলিশ বেশি আসছে। তবে বিল্লাল মাঝির জালে ধরা পড়া দুই কেজি ওজনের ইলিশ চমক ছিল। এত বড় ইলিশ সচরাচর পাওয়া যায় না। বড় ইলিশ হওয়ায় দাম বেশি হয়েছে। এমনিতে নদীতে ইলিশ কম পাওয়ায় দাম বেশি।’
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, ‘সরকার মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে ইলিশের প্রজনন মৌসুম নিরাপদ করেছে, পাশপাশি মাছের জন্য অভয়াশ্রম তৈরি করা এবং সাগরে নির্দিষ্ট সময় মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়। ফলে এখন মাছ যেমন বড় হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে, তেমনি মাছের বংশবৃদ্ধি এবং উৎপাদন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদীতে মাছ কম পেলেও সামনে নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে মাছ বেশি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।’