× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

কুড়িগ্রামে কমেছে বন্যার পানি, বেড়েছে দুর্ভোগ

কুড়িগ্রাম প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৪ ১৯:৩২ পিএম

আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২৪ ১৯:৪৯ পিএম

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের মশালের চর এলাকায় পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে বানভাসিদের দুর্ভোগ। প্রবা ফটো

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের মশালের চর এলাকায় পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে বানভাসিদের দুর্ভোগ। প্রবা ফটো

কুড়িগ্রামের ১৬টি নদ-নদীর পানি গত দুদিন ধরে কিছুটা কমতে শুরু করেছে। ফলে জেলার ৯টি উপজেলার ৫৫টি ইউনিয়নের প্রায় ২ লাখ পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি আর গবাদিপশুর খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। তবে জেলা প্রশাসন থেকে ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম চলমান থাকলে গো-খাদ্য সংকট নিয়ে দুশ্চিন্তা আছে বানভাসিরা।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের সকাল ৯টার দেওয়া তথ্য মতে, ব্রহ্মপুত্রের নুনখাওয়া ও চিলমারী পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তথ্যানুসারে, ব্রহ্মপুত্র নদে পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার শূন্য দশমিক ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার শূন্য দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার, দুধকুমার নদের পানি শূন্য দশমিক ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে জেলার ৯টি উপজেলার ২ লাখ পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। কয়েক দিনের বন্যায় নাগেশ্বরী উপজেলার ২টি বাঁধ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। চর দ্বীপ চর ও নিম্নাঞ্চলের মানুষের ঘরে চাল-ডাল থাকার পরেও রান্না করে খেতে পারছেন না। অনেকে ঘর-বাড়ি ছেড়ে পরিবারের লোকজন নিয়ে উঁচু স্থানে অবস্থান করতেছে। উপায় না পেয়ে অনেকের নৌকার ভেতর রাত কাটাতে হচ্ছে। এমন দুর্ভোগে সরকারি-বেসরকারিভাবে সহযোগিতার আশা করছেন বানভাসিরা।

সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের রলাকাটা গ্রামের মো. আখের আলী বলেন, ‘টানা ১০ দিন ধরে ঘরে বাইরে পানি। মাচার ওপর ছোট বাচ্চাদের নিয়ে খুব কষ্টে আছি। কাজ কামাই নাই, খাওয়ার কষ্ট, থাকার কষ্ট। কী করি, কোথায় যাই?’

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই সরকার জানান,  জেলার বন্যাকবলিতদের জন্য শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ৫৪২ টন চাল, ৩২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ও ২৩ হাজার ১২০ প্যাকেট শুকনো খাবার ৯ উপজেলায় বিতরণ চলমান।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা