শিশুকে ‘যৌন নিপীড়ন’
রাজশাহী অফিস
প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৪ ২০:২৪ পিএম
প্রতীকী ছবি।
রাজশাহীতে শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে করা মামলা তুলে নিতে চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বোয়ালিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোস্তফাসহ স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। ‘নিপীড়নের শিকার’ ওই শিশুর মা এমন অভিযোগ করেছেন। তবে অভিযুক্ত ওই পুলিশ কর্মকর্তা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
ওই শিশুর পরিবার জানায়, চিকিৎসা পেশার পাশাপাশি বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ডা. উম্মে সালমা পান্না। কিছুদিন আগে তার ২০ মাসের শিশুকে নানির বাড়িতে না যেতে দিয়ে প্রতিবেশী হাসনা হেনা নিজ জিম্মায় রাখার দায়িত্ব নেন। গত ২২ জুনের পর ওই শিশুর অস্বাভাবিক শারীরিক অবস্থা দেখে সন্দেহ হয় চিকিৎসক মা উম্মে সালমার। বুঝতে পারেন শিশু প্যানিক এটাকে আক্রান্ত। এরপর সিনিয়র চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে ওই চিকিৎসক জানান তার শিশু ধর্ষণের শিকার।
এর পর ওই শিশুকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে গত ৫ জুলাই নগরীর শাহমখদুম থানায় প্রতিবেশী হাসনা হেনাসহ তার স্বামী ও সন্তানের নামে মামলা করেন উম্মে সালমা। এরপর ওই নারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। হাসনা হেনার মোবাইল থেকে শতাধিক পর্নোগ্রাফি জব্দ করা হয়েছে। ওই শিশুর পরিবারের দাবি তাদের সন্তানের সঙ্গে আসলে কী ঘটেছে তা কেবলমাত্র এই নারীই বলতে পারবেন।
ওই শিশুর মা ডা. উম্মে সালমা পান্না বলেন, ‘আমার মেয়ে যখন প্যানিক এ্যটাকে আক্রন্ত বুঝতে পারি তথন আমার সন্দেহ হয়। এর পর আমি ও আমার চিকিৎসক ম্যাডাম যৌনাঙ্গ পরীক্ষা করি। সেখানে ক্ষত দেখতে পাই। এই ঘটনায় শাহমখদুম থানায় মামলার পর থেকে আমাকেসহ আমার মা ও ভাইকে নানা ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বোয়ালিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোস্তফা আসামিদের পক্ষ থেকে এসে আমাদেরকে মামলা তুলে নিতে বলছে।’
সিসি ক্যামেরা ফুটেজে পুলিশের ওই কর্মকর্তাকে ভুক্তভোগী পরিবারের বাড়িতে আসামি পক্ষের লোকসহ প্রবেশ করতে দেখা গেলেও, হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘আমি কেন তাদেরকে মামলা তুলে নিতে বলব? তারা আমার পরিচিত তাই ঈদের পর তাদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম।’
এই ঘটনায় কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র।