কুমিল্লা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৪ ১৮:৩০ পিএম
আপডেট : ১১ জুলাই ২০২৪ ১৯:৩১ পিএম
কুমিল্লার মুরাদনগরে এক ব্যবসায়ীকে জবাই করে হত্যার দায়ে চারজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে এ রায় দেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক মোছা. ফরিদা ইয়াসমিন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো উপজেলার উত্তর ত্রিশ এলাকার মো. রফিক মিয়া, দেবিদ্বারের মাধবপুর এলাকার মো. নাজমুল শিকদার, ভিংলাবাড়ি এলাকার মো. মান্নান মিয়া ও মো. সুমন মিয়া। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা কেউ উপস্থিত ছিল না। হত্যার শিকার ফারুক আহমেদ উপজেলার উত্তর ত্রিশ এলাকার মো. মোস্তফার ছেলে।
আইনজীবী রফিকুল ইসলাম জানান, ২০১৩ সালের ২ ডিসেম্বর নিখোঁজ হন মুরাদনগর উপজেলার উত্তর ত্রিশ এলাকার ফারুক আহমেদ। ৭ ডিসেম্বর স্থানীয় একটি বালুর মাঠ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পরিবার। ফারুক আহমেদের কোম্পানীগঞ্জ বাজারে একটি কাপড়ের দোকান ছিল। তার চাচাতো ভাই রফিকুল ইসলাম তার কাছ প্রায় ৩ লাখ টাকা ধার নেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পরেও রফিক সেই টাকা ফেরত দিচ্ছিল না। যে কারণে ফারুক প্রায়ই তার কাছে টাকা চাইত। একবার রফিকের ভগ্নিপতি মান্নান মিয়ার সামনে টাকা চাইলে ক্ষিপ্ত হয় রফিক। মান্নান ও রফিক পরিকল্পনা করে আরেক ভগ্নিপতি সুমনকে খবর দেয়। পরে তারা তিনজন পাশের দেবিদ্বার উপজেলার পরিচিত নাজমুল সিকদারকে ভাড়া করে। ৫০ হাজার টাকা চুক্তি করে চারজনে ফারুককে টাকা ফেরত দেবে বলে ডেকে আনে। পরে স্থানীয় একটি মাঠে তাকে গলা কেটে হত্যা করে লাশ বালুচাপা দিয়ে চলে যায়। ঘটনার ৫ দিনপর অর্ধগলিত মরদেহ পেয়ে পরিবার শনাক্ত করে। এ ঘটনায় রফিকের ভগ্নিপতি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে ঘটনার দায় স্বীকার করে।
নিহতের বাবা মো. মোস্তফা বলেন, ১১ বছর পর আমার ছেলে হত্যার বিচার পেয়েছি। আমার তিন ছেলে ছিল। এই ছেলেটা আমার বেশি আদরের ছিল। তাকেই খুন করল আমার আত্মীয়স্বজনরা। এখন আমার একটাই দাবি রায় দ্রুত কার্যকর করা হোক।
আইনজীবী রফিকুল ইসলাম বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আশা করছি হাইকোর্ট এ রায় বহাল রাখবে।