নেত্রকোণা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২৪ ২২:২৪ পিএম
আপডেট : ১০ জুলাই ২০২৪ ২২:৩৪ পিএম
বরখাস্তকৃত পোস্টমাস্টার শাহেদুন্নাহার। প্রবা ফটো
নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় জালিয়াতি করে সঞ্চয়পত্রের টাকা আত্মসাতের দায়ে পোস্টমাস্টার শাহেদুন্নাহারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বুধবার (১০ জুলাই) দায়িত্বপ্রাপ্ত পোস্টমাস্টার মধুভূষণ সরকার বলেন, ‘গত ৭ জুলাই পোস্টমাস্টার শাহেদুন্নাহারকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশের পত্র জারি হলে ৮ জুলাই তারিখে তাকে অব্যাহতি দিয়ে তার স্থলে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’
এর আগে গত রবিবার কেন্দ্রীয় সার্কেল ঢাকা পোস্টমাস্টার জেনারেল মো. ফরিদ আহমেদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
বরখাস্তকৃত শাহেদুন্নাহার ২০২৩ সালের নভেম্বরে কেন্দুয়া উপজেলা পোস্ট অফিসে পোস্টমাস্টার হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে তিনি নেত্রকোণা জেলা পোস্ট অফিসের পোস্টমাস্টার পদে কর্মরত ছিলেন।
বরখাস্তের আদেশ বলা হয়েছে, পোস্টমাস্টার শাহেদুন্নাহার সঞ্চয়পত্রের ব্যবহৃত ও অব্যবহৃত কুপন জালিয়াতিমূলকভাবে এবং বাতিল মুনাফা কুপনে ফ্লুইড ব্যবহারের মাধ্যমে পুনঃব্যবহারের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেন। সেইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রমাণাদি ও সরকারি নথি ঔদ্ধত্যপূর্ণভাবে ছিঁড়ে ফেলেন। এমনকি ঘটনার তদন্তকালে তদন্ত দলের কাছে লিখিত বিবৃতি দিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে সুষ্ঠু তদন্তকাজে অসহযোগিতা ও ব্যাঘাত সৃষ্টি করেন। অসদাচরণ ও আত্মসাতের ঘটনা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী তাকে (শাহেদুন্নাহার) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
ডাক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শাহেদুন্নাহার গত বছরের নভেম্বর মাসে কেন্দুয়া উপজেলা পোস্ট অফিসে পোস্টমাস্টার পদে যোগদান করেন। বদলি হওয়ায় সময় সদর অফিস থেকে এক নারীর পুরোনো সঞ্চয়পত্রের কুপন সঙ্গে নিয়ে যান। যে সঞ্চয়পত্রের টাকা ২০১৭ সালেই ওই নারী তুলে নিয়েছেন। কেন্দুয়ায় গিয়ে ওই ভাঙানো সঞ্চয়পত্রে থাকা লাল কালি দ্বারা ক্রস চিহ্ন ফ্লুইড দিয়ে মুছে ফেলেন শাহেদুন্নাহার। পরে পুনরায় সেই সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা তুলে আত্মসাৎ করেন তিনি। সেইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব প্রমাণাদি তিনি ছিঁড়ে ফেলেন। বিষয়টি জানাজানি হলে ময়মনসিংহ ডাক বিভাগের সুপারিন্টেন্ডেন্ট রিপন রায়কে প্রধান এবং পরিদর্শক পলাশ চন্দ্র ধর ও নেত্রকোণার পোস্ট অফিসের পরিদর্শক আবু হেনা মোনাসেফ করিমকে সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে জানতে বরখাস্ত হওয়া পোস্টমাস্টার শাহেদুন্নাহারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। ম্যাসেজ দিলেও তাতে তিনি সাড়া দেননি।