সংবাদ প্রকাশের জের
গাইবান্ধা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২৪ ২১:৫৮ পিএম
আপডেট : ১০ জুলাই ২০২৪ ২২:১৯ পিএম
গাইবান্ধায় বালু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জেরে হওয়া চাঁদাবাজির মামলায় আনন্দ টেলিভিশনের গাইবান্ধা প্রতিনিধি ও গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিলন খন্দকারকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (১০ জুলাই) গাইবান্ধার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করলে ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল মতিন জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এর আগে তিনি উচ্চ আদালত থেকে আট সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন।
জানা গেছে, জেলার সদর উপজেলার কামারজানির যমুনা নদীতে একদল সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন ধরে নদী থেকে বালু তুলে অবাধে বিক্রি করে আসছিল। এতে করে ওই এলাকার ফসলি জমি, বাঁধ ঘেঁষে ইউনিয়ন পরিষদ, ভূমি অফিস, বসতবাড়ি, ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা হুমকির মুখে পড়ে। এসব ঘটনা তুলে ধরে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আনন্দ টিভিতে প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। পরে সংবাদের সূত্র ধরে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কামারজানি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা খন্দকার আজিজুর রহমান বাদী হয়ে এই চক্রের রানা ও সাইফুল ইসলামের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১২ থেকে ১৫ জন অবৈধ বালু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে গাইবান্ধা সদর থানায় বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
এসব ঘটনা ও প্রচারিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করাসহ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে বালু পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত অন্তত ১৫টি গাড়ি জব্দ করাসহ অবৈধভাবে তুলে মজুদকৃত বালু কয়েক দফায় ২০ লাখ টাকা নিলামের মাধ্যমে বিক্রয় করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৮ মার্চ সংঘবদ্ধ চক্রটির সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে সাংবাদিক মিলন খন্দকারসহ তিন সাংবাদিকের নামে সদর থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগ দায়ের করেন। পরে অভিযোগ দায়েরের প্রায় এক মাস এবং সংবাদ প্রকাশের প্রায় দুই মাস পর গত ২৪ এপ্রিল থানায় মামলাটি রেকর্ডভুক্ত হয়।