শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২৪ ২১:২০ পিএম
আপডেট : ১০ জুলাই ২০২৪ ২১:৩১ পিএম
সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় না হওয়ায় দেশের অর্ধেক মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশে যান বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তাই পরীক্ষা-নিরীক্ষায় টেকনোলজিক্যাল বিষয় সমাধান করা গেলে সঠিক রোগ নির্ণয় ও সব রোগের চিকিৎসা দেশেই সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে মাদারীপুরের শিবচরে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি পরিদর্শন শেষে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এ কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘দেশের অর্ধেক লোক বিদেশে চলে যায় সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় না হওয়ার কারণে। তারা দেখে এক জায়গায় এক রিপোর্ট আরেক জায়গায় আরেক রিপোর্ট। এগুলো চিন্তা করেই অনেকে বিদেশে চলে যায়। আমরা যদি টেকনোলজিস্ট শক্ত করতে পারি তাহলে আমাদের সমস্ত রোগের ট্রিটমেন্ট এখানেই সম্ভব। রিপোর্ট যদি সঠিক না হয়, তাহলে কোনো দিনই সঠিক চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব না।’
সামন্ত লাল বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেক ভালো ডাক্তার রয়েছেন। দেশে অনেক ভালোমানের হসপিটাল তৈরি করা হচ্ছে কিন্তু আমাদের ব্যাপক জনবল সংকট রয়েছে। একসময় দেখা যাচ্ছে ওই হসপিটালের দরজা-জানলাও চুরি হয়ে যাচ্ছে। শুধু হসপিটাল বা ভবন নির্মাণ করলেই চলবে না। জনবল সংকট দূর করতে হবে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। চিকিৎসার মান অবশ্যই উন্নত করতে হবে।’
ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘তোমরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। লেখাপড়া করে আগামীতে তোমরা চিকিৎসা বিজ্ঞানকে এগিয়ে নিতে পারবে। বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে যখন তোমরা কাজ করবে তখন মনোযোগ সহকারে রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বিশেষ অবদান রাখবে অবশ্যই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে ঢাকা মেডিকেল কিংবা হৃদরোগ হাসপাতালে রোগী মাটিতে পড়ে থাকে। এটা বন্ধ করতে হলে এখানেই চিকিৎসা করতে হবে। প্রত্যেকটি উপজেলাকে আমাদের স্বাবলম্বী করতে হবে। তাহলেই কিন্তু আমরা রোগীদের ঢাকা যাওয়া কমাতে পারব।’
এ সময় জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ও আওয়ামী লীগ সংসদীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক নূর-ই-আলম চৌধুরী, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।
চিফ হুইপ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যে দুজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্ব দিয়েছেন তাদের কঠোর পরিশ্রমে স্বাস্থ্যবিভাগ ঘুরে দাঁড়াবে। স্বাস্থ্য খাতে যে দুর্বলতা আছে আমাদের অনেক মানুষকে স্বাস্থ্যসেবার জন্য বিদেশ যেতে হয়। আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা পাই না। মাননীয় মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর মাধ্যমে ইনশাল্লাহ, আমরা আন্তর্জাতিক মানের স্বাস্থ্যব্যবস্থা পাব।’
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগে ভবন নয়, আগে আমাদের দক্ষ জনবল প্রয়োজন। তা না হলে শিক্ষার্থীদের অসুবিধা থেকেই যাবে। দক্ষরা যে সেবা দেশের মানুষের জন্য দিতে পারবে, অদক্ষরা তা পারবে না।’