মাদারগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৪ ২৩:০২ পিএম
জামালপুরে সার ব্যবসায়ী নওশের আলী হত্যা মামলায় মাদারগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হান রহমতুল্লাহ রিমুকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার (১ জুলাই) বেলা সোয়া ৩টার দিকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ পারভেজ রিমুর জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রিমুকে কারাগারে পাঠানোর সংবাদে সোমবার মাদারগঞ্জ উপজেলার বালিজুড়ি বাজার থেকে বাসস্ট্যান্ড এলাকা পর্যন্ত জামালপুর-মাদারগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল করে তার কর্মী-সমর্থকরা। পরে বিকাল ৫টার দিকে উপজেলা চত্বরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা জানান, রায়হান রহমতুল্লাহ রিমুকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত তারা শান্তির্পূণ নানা কর্মসূচি পালন করবেন। এ সময় মাদারগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর ও রায়হান রহমতুল্লাহ রিমুর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হাসানুজ্জামান সাগর আজ মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য হরতালের ঘোষণা দেন।
জামালপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পিপি আনোয়ার হোসেন জানান, ২০২০ সালের ২৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় মাদারগঞ্জ উপজেলার বালিজুড়ি বাজারে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হন সার ব্যবসায়ী নওশের আলী। এরপর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। সেই হত্যা মামলায় পুলিশের তদন্তে চেয়ারম্যান রিমুর নাম উঠে আসে। এরপর উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন নেন তিনি। গত রবিবার জামিনের মেয়াদ শেষ হয় তার। গতকাল সোমবার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফের জামিন আবেদন করলে বিচারক জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এই মামলায় আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুস ছালাম। তবে এ ব্যাপারে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রায়হান রহমতুল্লাহ রিমুর জামিন নাকচ হওয়ায় তার কর্মী-সমর্থকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করে। অবরোধ তুলে নিতে তাদের বোঝানো হচ্ছে, পুলিশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন রায়হান রহমতুল্লাহ রিমু। আজ মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে তার দায়িত্ব গ্রহণের কথা ছিল।