মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) সংবাদদাতা
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৪ ২১:০৪ পিএম
আপডেট : ০১ জুলাই ২০২৪ ২১:১৪ পিএম
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বড় মাছুয়া ইউনিয়নের স্টিমার ঘাট এলাকার বলেশ্বর নদে জিওব্যাগ ফেলার পরও ভাঙন রোধ করা যাচ্ছে না। প্রতিবছর ভাঙনরোধে নেওয়া কোনো ব্যবস্থাই কাজে আসছে না। এ বছর বালুভর্তি জিওব্যাগের জায়গায় নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। জলোচ্ছ্বাস ও রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
স্থানীয়রা জানায়, সাধারণত বর্ষা মৌসুমের শুরু ও শেষের দিকে ব্যাপক নদীভাঙন দেখা দেয়। তা ছাড়া বিভিন্ন সময় জলোচ্ছ্বাসের কারণে বেড়িবাঁধগুলোতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এই এলাকায় ইতঃপূর্বে কয়েকবার জিওব্যাগ ফেলে ভাঙনরোধের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থাই কাজে আসছে না। ভাঙনের ফলে মাছুয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম হুমকির মুখে পড়েছে।
মাছুয়া ইউনিয়নের খেজুরবাড়িয়া এলাকার বেল্লাল হোসেন জানান, এই এলাকাটা অনেক বড় ছিল। কয়েক বছর নদীভাঙনে বেশ কিছু অংশ বিলীন হয়ে গেছে। অনেক পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে।
একই গ্রামের অতুল চন্দ্র সাহা জানান, বেড়িবাঁধ থেকে অনেক দূর পর্যন্ত ফসলি জমি ও বসতবাড়ি ছিল, যা নদীভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ হলে হয়তো ভাঙনরোধ করা সম্ভব হতো।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী নুসাইর বলেন, ‘মাছুয়া ইউনিয়নের স্টিমার এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ জিওব্যাগ ফেলে প্রতিরক্ষা করার চেষ্টা করছি। বর্তমানে ৩০০-৫০০ মিটার জায়গাজুড়ে বেড়িবাঁধ রক্ষায় জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে, যাতে টেকসই থাকে। জিওব্যাগ প্রকল্পে প্রায় ৮৫ লাখ টাকা ব্যয় হচ্ছে। ব্লকের প্রজেক্ট দেওয়া আছে, বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করব।’