মো. জিয়াউর রহমান, নেত্রকোণা
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৪ ১২:২৩ পিএম
কেন্দুয়া-মদন পাকা সড়কের বিভিন্ন স্থান ভেঙে সৃষ্ট খানাখন্দে বৃষ্টির পানি জমে কাদায় সয়লাব হয়ে গেছে। কেন্দুয়া সরকারি কলেজ মোড় এলাকা। প্রবা ফটো
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতাধীন নেত্রকোণার কেন্দুয়া-মদন ১৩ কিলোমিটার পাকা সড়কের কেন্দুয়া পৌরশহরের সাউদপাড়া মোড় থেকে জামতলা মোড় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক বেহাল।
সড়কের ওই এক কিলোমিটারজুড়ে বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে ছোটবড় অসংখ্য খানাখন্দের। এসব খানাখন্দে বৃষ্টির পানি জমে ধীরে ধীরে গর্তগুলো আরও বড় আকার ধারণ করছে এবং গর্তে জমে থাকা ময়লা পানি সাধারণ পথচারীসহ যাত্রী ও যানবাহন চালকদের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গতকাল সরেজমিনে সড়কটি ঘুরে পথচারী, যাত্রী ও বিভিন্ন যানবাহন চালকের ভোগান্তির চিত্র দেখা গেছে। বিশেষ করে, পৌরশহরের সাউদপাড়া মোড় এবং কেন্দুয়া সরকারি কলেজ মোড় এলাকায় রাস্তাটির অবস্থা খুবই নাজুক। এ দুটি মোড়ে পুরো রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে কয়েকটি বড় বড় গর্তের। এসব গর্তে ময়লা পানি জমে কাদায় সয়লাব হয়ে গেছে। গুরুত্বপূর্ণ এ দুটি মোড় দিয়ে অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা যাতায়াত করছেন। সড়কের গর্তে যানবাহনের চাকা আটকে কিংবা উল্টে পড়ে প্রায়ই ঘটছে ছোটবড় দুর্ঘটনাও। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন বিষয়টি দেখেও দেখছেন না।
স্থানীয়রা জানান, এ সড়ক দিয়ে স্থানীয় লোকজন ছাড়াও হাওর এলাকা খালিয়াজুরী ও মদন উপজেলার শত শত মানুষ ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন। হাওরাঞ্চলের কৃষকদের উৎপাদিত ধান, পাটসহ বিভিন্ন পণ্য দেশের অন্যান্য এলাকায় সরবরাহ করেন। কিন্তু সড়কটির কেন্দুয়া পৌরসভা অংশে এক কিলোমিটারজুড়ে এমন খানাখন্দের কারণে যানবাহনসহ পথচারীদের যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। কেন্দুয়া সরকারি কলেজ মোড় এলাকার ব্যবসায়ী আবু সাদেক তালুকদার বলেন, ভাঙাচুরা এ সড়কটির জন্য গত এক-দেড় মাস ধরে সাধারণ মানুষ অনেক কষ্ট করছে। প্রায় সময়ই সড়কের বড় বড় গর্তে গাড়ি উল্টে যাচ্ছে। আজকেও (২৮ জুন) একটা গাড়ি উল্টে গেছে। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এ সড়কে নিয়মিত অটোরিকশাচালক জিয়াউর রহমান বলেন, রাস্তাটার অবস্থা খুব খারাপ। যাত্রী নিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাওয়া বেশ কঠিন। গর্তে পড়ে গাড়ি হেলেদুলে প্রায় সময়ই উল্টে যায়। আমাদের গাড়িরও ক্ষতি হচ্ছে। সড়কটি যথাশিগগির মেরামত করা না হলে চলাচল করাই দুরূহ হবে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কেন্দুয়া উপজেলা প্রকৌশলী আল আমিন সরকার বলেন, সত্যি সড়কটির অবস্থা খুব খারাপ। পুরো উপজেলায় এ-রকম আরও
কয়েকটি সড়ক রয়েছে। কিন্তু ফান্ডিং স্বল্পতার কারণে সবগুলো রাস্তার সংস্কার কাজ একসঙ্গে করা সম্ভব নয়।
তবে আমরা সংস্কারযোগ্য সবগুলো সড়ক মেরামতের জন্য বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। এর মধ্যে কেন্দুয়া-মদন সড়কটির সংস্কার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হবে।