কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৪ ১২:২১ পিএম
রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের সমতা ঘাটে চলছে পাহাড়ি আম্রপালি আমের কেনাবেচা। সম্প্রতি তোলা। প্রবা ফটো
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ি অঞ্চলে প্রতি বছর আম্রপালি জাতের আমের ব্যাপক ফলন হয়। এসব আমের চাহিদা ও কদর রয়েছে দেশজুড়ে। এবারও উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে আম্রপালির উৎপাদন হয়েছে। বিশেষ করে কাপ্তাইয়ের ঘাগড়া সড়কের আশপাশে গেলেই চোখে পড়ছে গাছে গাছে আমের থোকা। ইতোমধ্যে গাছ থেকে আম্রপালি সংগ্রহ করে বাজারজাত শুরু করছেন চাষিরা। অন্যদিকে কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন হাটবাজারে দেখা মিলছে এসব আম্রপালির।
সম্প্রতি উপজেলা সদর বরইছড়ি, নতুন বাজারসহ বেশ কিছু জায়গায় গিয়ে দেখা যায়, বাজারে আম্রপালির সমারোহ। তবে আম্রপালির পাশাপাশি রুপালি, রাঙ্গু এবং মল্লিকা জাতের আমও চোখে পড়েছে। এসব আমের ফলনও ভালো হয়েছে কাপ্তাইয়ে।
কয়েক বছর ধরেই আম্রপালির বাগান করছেন উপজেলার ওয়াগ্গা ইউনিয়নের বাসিন্দা সুজন তঞ্চঙ্গ্যা, যতিন্দ্র তঞ্চঙ্গ্যাসহ কয়েকজন। তারা জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও আম্রপালির ভালো ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের বাগানগুলো পাইকারি ক্রেতারা কিনেও ফেলেছেন। এখন চলছে বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়া।
এদিকে উপজেলা সদরের মৌসুমি ফল বিক্রেতা মো. দুলাল মিয়া, আবু তালেবসহ কয়েকজন জানান, তারা উপজেলায় মৌসুমি ফলের ব্যবসা করে সংসার চালান। মৌসুমি ফলের মধ্যে আম্রপালি বিক্রয় করেই সবচেয়ে বেশি আয় করেন তারা। কারণ কাপ্তাইয়ের আম্রপালি সারা দেশে বেশ সমাদৃত। বছরের জুন-জুলাই মাসে প্রচুর আম্রপালি কাপ্তাই থেকে বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এবার ফলন ভালো হওয়ায় তারা অনেক আম সংগ্রহ করেছেন। এখন অপেক্ষা করছেন বিক্রয়ের জন্য। পাইকারি প্রতি কেজে ৫০-৬০ টাকা দরে ক্রয় করলেও এসব আম ৯০-১০০ টাকা বা তারও বেশি দামে বিক্রি করছেন।
কয়েকজন বিক্রেতা জানান, গত বছরের তুলনায় দাম কম হওয়ায় তারা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। গত বছর যেখানে প্রতি কেজি আম্রপালি ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে, এবার একই জাতের আম ৬০-৭০ টাকা বিক্রি করছেন। আবার যেসব আমের দাম ৫০ টাকা ছিল এবার তা ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি করছেন। সুস্বাদু হওয়ায় আম্রপালির চাহিদা ক্রেতাদের কাছে সবচেয়ে বেশি বলে এই ব্যবসায়ীরা জানান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান আহমেদ বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার কাপ্তাইয়ে আম্রপালির ভালো ফলন হয়েছে। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে ভালো পরিমাণ আম্রপালির বাগান রয়েছে। এসব আমের চাহিদা ও কদর সারা দেশে রয়েছে। কাপ্তাইয়ের আম্রপালি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়। আশা করা যাচ্ছে, এবারও স্থানীয় আম চাষিরাও বেশ লাভবান হবেন।