বান্দরবান প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৪ ১৮:১২ পিএম
আপডেট : ২২ জুন ২০২৪ ১৮:৪৮ পিএম
শনিবার দুপুরে কেএনএফ সন্দেহে গ্রেপ্তার করা তিনজনকে বান্দরবান চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। পরে তাদের কারাগারে পাঠনোর নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক। প্রবা ফটো
বান্দরবানের রুমায় যৌথবাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আরও তিন সদস্যকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এনিয়ে এখন পর্যন্ত ১০৮ জন সন্দেহভাজন কেএনএফ সদস্যকে কারাগারে পাঠনো হয়েছে।
শনিবার (২২ জুন) দুপুরে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সৈয়দা সুরাইয়া আক্তার তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিরা হলেন- গড গলরী বম, সাং খুম বম ও জেফানিয়া বম। তারা সবাই রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ড হ্যাপী হিল পাড়ার বাসিন্দা।
বান্দরবান চিফ জুডিসিয়াল আদালতের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রিয়েল পালিত প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রুমায় ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, অস্ত্র লুটের ঘটনায় করা মামলায় তিন আসামিকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারকের নির্দেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ২ এপ্রিল রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি করে অর্থ লুট করে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী। পুলিশের ১০টি এবং আনসার সদস্যের ৪টি অস্ত্রও লুট করে নিয়ে যায় তারা। অপহরণ করা হয় ব্যাংকটির ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে। দুদিন পর রুমার একটি পাহাড়ি এলাকা থেকে ছাড়া পান তিনি। এ ঘটনার এক দিন পর ৩ এপ্রিল থানচি উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকেও দিন-দুপুরে অর্থ লুটের ঘটনা ঘটে। দুটি ঘটনায় পাহাড়ে সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ জড়িত বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর থেকে লুট হওয়া অস্ত্র-অর্থ উদ্ধার, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুমা ও থানচিতে অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনী। অভিযানে অংশ নিচ্ছেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ সদস্যের যৌথবাহিনী।
যৌথ বাহিনীর এই অভিযান সমন্বয় করছেন সেনাবাহিনী। অভিযানে কেএনএফের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে এখন পর্যন্ত ১২ জন নিহত হয়েছে।
বান্দরবান সদর থানায় ১টি, রুমা থানায় ১৪টি, থানচি থানায় ৪টি, রোয়াংছড়ি থানায় ৩টিসহ মোট ২২টি মামলায় যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত ১০৮ জন সন্দেহভাজন কেএনএফ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ক্রমান্বয়ে আদালতে হাজির করে তাদের সবাইকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।