সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৪ ২০:০১ পিএম
আপডেট : ২০ জুন ২০২৪ ২১:০৫ পিএম
প্রতীকী ছবি
ধর্ষণের কারণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন প্রতিবন্ধী
নারী। পরে তাকে করানো হয় গর্ভপাত। পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতিতে আবারও তাকে ধর্ষণ
করেন একই ব্যক্তি। পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীকে এবার বিয়ে দেওয়া হয়েছে অভিযুক্ত
ব্যক্তির সঙ্গে। অভিযোগ আছে, প্রভাবশালীদের চাপে থানা-পুলিশ করেননি বাবা। লিখিত কিছু
না পেয়ে ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশও।
ঘটনাটি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার
চরাঞ্চল নুনেরটেক এলাকার। ৩০ বছরের ওই নারীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছে দুই সন্তানের বাবা কামাল
হোসেনের। পাঁচ লাখ টাকা কাবিনে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের বিয়ে পড়িয়েছেন স্থানীয়
এক কাজী।
প্রতিবন্ধী ওই নারী ছোটবেলায় তার মাকে
হারান। স্বজনদের অভিযোগ, বছর তিনেক আগে কামাল তাকে প্রথম ধর্ষণ করেন। তখন তিনি অন্তঃসত্ত্বা
হয়ে পড়লে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে উপজেলার একটি হাসপাতালে তার গর্ভপাত করানো হয়।
বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ওই নারী বলেন, বাবা
ও ভাই রাতে বাসায় না থাকার সুযোগে তাকে ধর্ষণ করেন কামাল। এর আগেও একই ধরনের ঘটনা দুইবার
তার সঙ্গে ঘটেছে।
তার ছোট ভাই বলেন, কামাল একাধিকবার
তার বোনকে ধর্ষণ করেছে। সবশেষ গতকাল তোড়জোড় করে স্থানীয়রা কামালের সঙ্গে তার বোনের
বিয়ে দিয়েছেন।
আগের ঘটনা নিয়ে কামাল পরিষ্কার করে
কিছু বলতে চাননি। তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সবশেষ এক প্রশ্নের জবাবে
তিনি শুধু বলেন, পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহর আমি তাকে বিয়ে করেছি।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জাকারিয়া ভূঁইয়া
বলেন, প্রতিবন্ধী মেয়েটি গরিব। তাই এলাকার লোকজন মিলে কামালের সঙ্গে তাকে বিয়ে দিয়েছেন।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মহসিন
মিয়া বলেন, এ বিষয়ে থানায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দেয়নি কেউ। তারপরও পরিবারের কাছে
গত বুধবার রাতে পুলিশ সদস্য পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তারা কোনো অভিযোগ দেবেন না জানিয়ে
দেন।