কুড়িগ্রাম প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৪ ১৬:৫২ পিএম
আপডেট : ২০ জুন ২০২৪ ১৭:৫৫ পিএম
বুধবার রাতে তিস্তা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় উদ্ধার অভিযান চালায় ফায়ার সার্ভিস। প্রবা ফটো
বিয়ের দাওয়াত খেয়ে ফেরার পথে তিস্তা নদীতে ঝড়ের কবলে পড়ে নৌকাডুবির ঘটনায় একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। এ ছাড়া ৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (১৯ জুন) দিবাগত রাত ১টার দিকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক কামরুল হাসান।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলার উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নের সাদুয়া দামারহাট এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় এখনও ৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজরা হলেন- উলিপুর উপজেলার পশ্চিম বজরা গ্রামের আনিছুর রহমান, স্ত্রী রুপালী খাতুন, কন্যা আইরিন আখতার (৯), ভাগ্নি ইরা মনি (১০), নৌকা ডুবে মৃত আয়শা খাতুনের ভাই শামীম, একই গ্রামের পয়জাল হকের কন্যা কুলছুম (৪)।
নিখোঁজদের সন্ধানে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট কাজ করছে।
মৃত শিশু আয়শা সিদ্দিকা উপজেলার বজরা মিয়াজিপাড়ার আজিজুল হকের মেয়ে।
উদ্ধার হওয়া ৫ জন উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন। চিকিৎসাধীন শরীফা বেগম বলেন, ‘আমরা সবাই আত্মীয়ের বাসায় বিয়ের দাওয়াত খেয়ে ফিরছিলাম। নয়শ একর এলাকায় সোলার প্যানেল এরিয়ায় পৌঁছালে ঝড়ের কবলে পড়ে ঘূর্ণিপাকে ডুবে যায় নৌকাটি। অনেকেই সাঁতরে নদীর তীরে উঠে আসেন।’
স্থানীয় বক্কর আলী জানান, নৌকা ডোবার খবর পেয়ে এলাকাবাসী উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে উদ্ধার অভিযানে নামে। নিখোঁজদের উদ্ধারে এখনও অভিযান চলছে।
বজরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম সরদার বলেন, ‘নৌকা ডুবে যাওয়ার পর ২২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি। তবে কতজন নৌকায় ছিল তা আমরা জানি না।’
কুড়িগ্রাম ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক কামরুল হাসান বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত ১ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছি। এ ছাড়া জীবিত ৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছে ৬ জন নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধারে ৩টি ইউনিট কাজ করছে।’
কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর-এ মোর্শেদ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত উলিপুর হাসপাতালে ৫ জন চিকিৎসাধীন। কতজন নিহত হয়েছে, তা আমার জানা নেই।’