শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৪ ২১:২২ পিএম
আপডেট : ১৯ জুন ২০২৪ ২১:৩৩ পিএম
বায়তুন নূর জামে মসজিদ। প্রবা ফটো
গাজীপুরের শ্রীপুরে মসজিদ কমিটির সভাপতির অনুমতি ছাড়া এক সদস্যের গরু কোরবানি দেওয়ায় ইমামকে লাঞ্ছিত ও চাকুরিচ্যুত করার অভিযোগ উঠেছে সভাপতি কফিল উদ্দীনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই এলাকার পৌর কাউন্সিলরসহ স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
গত সোমবার (১৭ জুন) ঈদের দিন সকাল সাড়ে ১০টায় শ্রীপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওর্য়াডের ভাংনাহাটি (মধ্যপাড়া) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত বায়তুন নূর জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি কফিল উদ্দীন ওই এলাকার বাসিন্দা।
মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুবক্কর সিদ্দিক জানান, ঈদের নামাজ শেষে মুসল্লিরা বাড়ি ফিরে কোরবানি দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এসময় কয়েকজন মুসল্লি তাদের পশু কোরবানি করে দেওয়ার জন্য ইমামকে অনুরোধ করেন। ইমাম তাদের অনুরোধে মাঠের পাশেই মসজিদ কমিটির সদস্য ইদ্রিস আলীর গরু কোরবানি দিচ্ছিলেন। ইমামের আসতে দেরি হওয়ায় বায়তুন নূর জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি কফিল উদ্দীন তার গরু কোরবানি (জবাইয়ের) করার জন্য ইমামকে ফোন দেন। ইমাম সভাপতির গরু কোরবানি করতে আসলে তার অনুমতি ছাড়া কেন অন্যের গরু কোরবানি দিতে গেলাম বলে ইমামকে মারধর শুরু করেন। পরে উপস্থিত লোকজন ইমামকে উদ্ধার করেন। পরে ইমামকে চাকুরিচ্যুতি করেন এবং চাকরি ছেড়ে চলে যেতে বলেন। এ ঘটনায় ইমাম শ্রীপুর পৌরসভার স্থানীয় (৪ নম্বর ওয়ার্ড) কাউন্সিলরের কাছে অভিযোগ দেন।
শ্রীপুর পৌরসভার কাউন্সিলর কামরুজ্জামান মন্ডল বলেন, ঈদের নামাজ শেষে ইমাম আমাকে ঘটনা সম্পর্কে বলেছে। ইমামকে মারধর ও চাকুরিচ্যুত করার ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির আইনগত শাস্তি পাওয়া উচিত। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বায়তুন নূর জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আল আমীন জানান, ইমামকে মারধরের খবর শুনেছি। উভয়ের সঙ্গে কথা না বলে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারছি না।
মসজিদ কমিটির সদস্য ইদ্রিস আলী বলেন, আমার গরু কোরবানি দেওয়ার সময় সভাপতি ইমামকে ফোন দিয়ে যেতে বলেন। ভুল বুঝাবুঝির কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। কমিটির সবাই মিলে বিষয়টা মীমাংসা করব।
অভিযুক্ত মসজিদ কমিটির সভাপতি কফিল উদ্দীনকে ফোন দিলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি লাইন কেটে দেন।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান জানান, ইমামকে মারধরের বিষয়টি কেউ জানায়নি। ইমাম বা মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে কেউ অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।