× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

শেষ মুহূর্তের বেচাকেনায় জমজমাট পশুর হাট

খাদেমুল ইসলাম, মাদারগঞ্জ (জামালপুর)

প্রকাশ : ১৫ জুন ২০২৪ ১৫:৫৬ পিএম

আপডেট : ১৫ জুন ২০২৪ ১৫:৫৯ পিএম

শেষ মুহূর্তে কোরবানির পশু কেনাবেচায় ব্যস্ত সময় পার করছেন পশুর হাটের ক্রেতা ও বিক্রেতা। শুক্রবার জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার জোনাইল বাজার। প্রবা ফটো

শেষ মুহূর্তে কোরবানির পশু কেনাবেচায় ব্যস্ত সময় পার করছেন পশুর হাটের ক্রেতা ও বিক্রেতা। শুক্রবার জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার জোনাইল বাজার। প্রবা ফটো

হাঁকডাক-দরদামে জমে উঠেছে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গরু-ছাগলের হাট। শেষ মুহূর্তে কোরবানির পশু কেনাবেচায় ব্যস্ত সময় পার করছেন পশুর হাটের ক্রেতা ও বিক্রেতা। এবার ক্রেতাদের কাছে দেশীয় গরুর কদর বেশি। 

এ উপজেলায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ১৪ হাজার ৭৫টি গবাদিপশু। যা এবারের চাহিদার তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। হাটে পর্যাপ্ত পশু থাকলেও দাম নিয়ে ক্রেতাদের অসন্তোষ রয়ে গেছে। তারা বলছেন, ব্যবসায়ীরা দাম কমাতে চাইছেন না। ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, গত বছরের তুলনায় এবার পশু খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় পশু পালনে খরচ বেশি বেড়েছে।

উপজেলার জোনাইল বাজার, কোয়ালিকান্দী, মিলন বাজারসহ কয়েকটি পশুর হাটে সরেজমিন দেখা গেছে, ক্রেতা-বিক্রেতায় জমজমাট পশুর হাটগুলো। দরদাম নিয়ে হাঁকডাক করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা আসছেন এসব হাটে। 

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, উপজেলায় কোরবানিযোগ্য মোট গবাদিপশুর সংখ্যা ১৪ হাজার ৭৫টি। এর মধ্যে গরু ৪ হজার ৩৭৬টি, মহিষ রয়েছে ৫১২টি, ছাগল ৭ হাজার ৭৭১টি, ভেড়া রয়েছে ১ হাজার ৩৭০টি এবং অন্যান্য পশু রয়েছে ৪৬টি। যার মধ্যে উপজেলার জন্য প্রয়োজন হবে ৭ হাজার ৮৫০টি পশু। উদ্বৃত্ত থাকবে ৬ হাজার ২২৫টি গবাদিপশু। উদ্বৃত্ত এসব গবাদিপশু ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হয়ে হবে।

খামারি শহিদুল ইসলাম বলেন, গতবারের তুলনায় এ বছর গরুর দাম বেড়েছে। পশুখাদ্যের দাম বাড়ায় খরচ বেড়েছে। ফলে দাম বেড়েছে গরু-ছাগলের।

খামারি সাহিদুর রহমান সজল বলেন, গবাদিপশু খাদ্যের ঊর্ধ্বমুখী মূল্য, নানা রোগবালাইয়ে ওষুধের পেছনে খরচ, সবকিছু মিলিয়ে খুব একটা লাভ হয় না। বর্তমান বাজারের যা অবস্থা, এখনও ভালো বিক্রি হয়নি। ক্রেতারা খরচের দামও বলছেন না।

জোনাইল বাজারের গরু ব্যবসায়ী সায়রুল ইসলাম বলেন, হাটে ১০টি গরু নিয়ে এসেছি। ইতোমধ্যে দুইটা বিক্রি হয়েছে। বাকিগুলো বিক্রির চেষ্টা করছি। ক্রেতাদের ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি।

হাটে আসা ক্রেতা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গতবারের তুলনায় এবার দাম অনেক বেশি। হাটে গরু-ছাগলের পরিমাণ অনেক কিন্তু দাম বেশি। আরেক ক্রেতা সোলাইমান কবির বলেন, বিক্রেতারা চড়া দাম হাঁকিয়ে বসে রয়েছেন। তাই সামর্থ্য অনুযায়ী গরু কিনতে হিমশিম অবস্থা। 

মাদারগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রিজভী আহমেদ বলেন, উপজেলার খামারি ও কৃষকদের গরুকে দানাদার খাদ্য ও কাঁচা ঘাস খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়েছি। পাশাপাশি ভিটামিনও খাওয়াতে বলছি। তবে গরুকে নিষিদ্ধ কোনো রাসায়নিক ও হরমোনের ওষুধ খাওয়ানো যাবে না। প্রাকৃতিক উপায়ে গরুকে ভালো খাদ্য কীভাবে খাওয়াবে এবং কীভাবে মানসম্মত মাংস উৎপাদন করবে, সে বিষয়ে খামারিদের পরামর্শ দিয়েছি। 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা