গাড়ি থেকে ছিটকে পড়ে মৃত্যু; হত্যার উদ্দেশ্যে ধাক্কা বলছে পরিবার

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় গাড়ি থেকে ছিটকে পড়ে মো. বিপুল মিয়া নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১০ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার ঘোষেরপাড়ার খায়েরপাড়া এলাকায় ছিটকে পড়ার ঘটনা ঘটে। পরে বিপুলকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ময়মনসিংহ নেওয়ার পথে রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

ঘটনাটি নিয়ে পরিবারের দাবি– বিপুলকে তার পূর্বপরিচিত ব্যক্তিরা বাড়ি থেকে ডেকে নিয়েছিল। তারা বিপুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধাক্কা দিয়ে গাড়ি থেকে ফেলে দেয়। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি প্রতিদিনের বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেছেন মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহম্মেদ।

বিপুল মিয়া মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম নাগেরপাড়া এলাকায় রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় মাহিন্দ্রাচালক ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় বিপুল ও তার তিন বন্ধু এবং গাড়িচালক আরিফসহ মাহিন্দ্রা গাড়ি নিয়ে ছবিলাপুর থেকে তেলিপাড়া যাচ্ছিল। এ সময় খায়েরপাড়া পৌঁছলে গাড়ি থেকে পড়ে যান বিপুল। আহত অবস্থায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।

বিপুলের চাচা তারা মিয়া বলেন, ‘মাহিন্দ্রা গাড়িটির মালিকের নাম মাসুদ। তার সঙ্গে আমার ভাতিজা কিছু দিন কাজ করেছে। গতকাল তিনি আমার ভাতিজাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। ডেকে নিয়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। আমরা হত্যাকারীদের বিচার চাই।’

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মাহিন্দ্রা গাড়ির মালিক মাসুদ। তিনি বলেন, ‘আমার ড্রাইভারের সঙ্গে বিপুল গিয়েছিল। হঠাৎ করে গাড়ি থেকে পড়ে গিয়ে বুকে আঘাত পায়। পরে জামালপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ময়মনসিংহ হাসপাতালে পাঠালে সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তার।’

মেলান্দহ থানার ওসি রাজু আহম্মেদ বলেন, ‘দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহতের পরিবার কোনো অভিযোগ দেয়নি। তারা অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’