নোয়াখালী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২৪ ১৭:৩২ পিএম
আপডেট : ০৯ জুন ২০২৪ ১৮:০৭ পিএম
সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান। প্রবা ফটো
ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের মাধ্যমে নোয়াখালীর ছয় উপজেলা ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১১ জুন (মঙ্গলবার) অবশিষ্ট তিন উপজেলাকেও ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হবে। এর মধ্য দিয়ে ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত হচ্ছে নোয়াখালী জেলা।
রবিবার (৯ জুন) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলায় মোট ভূমিহীন পরিবার ছিল ৫ হাজার ২৭৮টি। এর মধ্যে চার ধাপে জেলার সদর, কবিরহাট, বেগমগঞ্জ, চাটখিল সোনাইমুড়ী ও সেনবাগ উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ১১ জুন কোম্পানীগঞ্জ, সুবর্ণচর ও হাতিয়া উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করবেন তিনি। একই সঙ্গে জরাজীর্ণ ব্যারাকে পুনর্বাসিত ৯০০ একক গৃহকে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ৫ হাজার ৪৩৮ গৃহহীন পরিবারকে ভূমি ও গৃহ দিয়েছি। কোটি-কোটি টাকা মূল্যের সরকারি খাসজমি উদ্ধার করে এসব ঘর নির্মাণ করেছি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সহযোগিতা করেছেন। নোয়াখালী উপকূলীয় জেলা হওয়ায় নদী ভাঙন স্বাভাবিক ঘটনা। তবে আগামীতে কোথাও যদি মানুষ ভূমিহীন হয় তাহলে আমরা তালিকা করে তাদের পুনর্বাসিত করব।
তিনি আরও বলেন, জরাজীর্ণ ব্যারাক সর্বপ্রথম নোয়াখালী জেলা থেকে এক গৃহে পুনর্বাসিত করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তিনি সুবর্ণচর উপজেলার চর মহিউদ্দিন ব্যারাকটি উদ্বোধন করেছেন। আগামী ১১ জুন তিন চর মহিউদ্দিনের ৩০০ এক ঘরসহ জেলার মোট ৯০০ ঘর উদ্বোধন করবেন। ৯০০টি হলো ব্যারাক। যেখানে মানুষ খুবই কষ্টে জীবনযাপন করতেন। আশ্রয়ণের অধিকার-শেখ হাসিনার উপহার এই স্লোগান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাব।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিলটন রায় বলেন, জরাজীর্ণ ব্যারাক থেকে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি একক ঘরে রয়েছে দুটি বেড রুম, টয়লেট, রান্নাঘর, ও একটি বারান্দা। ঘর ও আশপাশের জমি মিলিয়ে দুই শতক জমি দেওয়া হয়েছে ভূমি ও গৃহহীন প্রতিটি পরিবারকে। টিনশেডের এই ঘরে একটি পরিবার স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করতে পারবে। ঘর দেওয়ার জন্য উপকারভোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রেও আমরা সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করেছি। যারা প্রকৃত ভূমিহীন তারাই এই সুবিধার আওতায় এসেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আখিনূর জাহান নীলা, জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার সেটু কুমার বড়ুয়াসহ জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।