নেত্রকোণা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২৪ ১৬:২৯ পিএম
আপডেট : ০৯ জুন ২০২৪ ১৬:৫০ পিএম
বাড়ি ঘিরে সোয়াট ইউনিটের সদস্যরা। প্রবা ফটো
নেত্রকোণা সদর উপজেলার কাইলাটি ইউনিয়নের ভাসাপাড়া এলাকায় জঙ্গি আস্তানা দাবি করা বাড়িটি ঘিরে পুলিশের অভিযান দ্বিতীয় দিনে গড়িয়েছে। রবিবার (৯ জুন) সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় দফার অভিযানে যোগ দেয় পুলিশের বিশেষায়িত টিম কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। তাদের সঙ্গে আছে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) এবং সোয়াট ইউনিট।
আগের দিন দুপুর ১টার দিকে বাড়িটির চারপাশ ঘেরাও করে অবস্থান নেয় জেলা পুলিশ। বিকাল ৫টার দিকে তাদের সঙ্গে অভিযানে যোগ দেয় এটিইউ। প্রথম দফার অভিযান শেষে সন্ধ্যায় পুলিশ জানায়, একটি বিদেশি পিস্তল, ১৭ রাউন্ড গুলি, খেলনা পিস্তল, হ্যান্ডকাপ, জিহাদি বই ও ওয়াকিটকিসহ জঙ্গিদের প্রশিক্ষণের কাজে বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়।
গতকাল জেলা পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ বলেছিলেন, বাড়িটির যে ঘরে অভিযান চালানো হয়, সেটি সাউন্ডপ্রুফিং। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এখানে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলার আটপাড়া উপজেলার স্বরমুশিয়া ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের প্রফেসর আব্দুল মান্নান নামে এক ব্যক্তি অন্তত ২০ বছর আগে দ্বিতল ভবনের এ বাড়ি নির্মাণ করেন। তবে প্রফেসর আব্দুল মান্নান এখানে থাকেন না। তিনি ঢাকায় বসবাস করেন। বাড়িটি তিনি অন্যদের কাছে ভাড়া দিয়ে রেখেছেন। কিছুদিন জেলা পুলিশ বিভিন্ন সূত্রে জানতে পারে– নেত্রকোণা সদর উপজেলার কোথাও জঙ্গি আস্তানা রয়েছে। বিষয়টি বিশেষভাবে তদারকি শুরু করে পুলিশ। গত শুক্রবার পুলিশ নিশ্চিত হয়– প্রফেসর আব্দুল মান্নানের বাড়িতেই জঙ্গি আস্তানা রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, বাড়ির মালিক আব্দুল মান্নান। তার বাড়ি জেলার আটপাড়া উপজেলায়। দুই তিন বছর আগে বর্তমান বাসিন্দাদের কাছে বাড়িটি ভাড়া দেওয়া হয়। তবে ভাড়া নেওয়া ব্যক্তিদের এলাকার লোকজন কখনও দেখেননি। পুরো বাড়িটি সিসি ক্যামেরার আওতায় রয়েছে।
দ্বিতীয় দফার অভিযান প্রসঙ্গে এসপি ফয়েজ আহমেদ বলেন, ঢাকা থেকে আসা পুলিশের বিশেষায়িত টিম, অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট ও সোয়াট ইউনিট অভিযান চালাচ্ছে। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।