চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২৪ ১৬:২৪ পিএম
আপডেট : ০৯ জুন ২০২৪ ১৬:৫৯ পিএম
আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলার আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন পুলিশ। আসামি ছিনিয়ে নিতে এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মীরা। এ ছাড়াও উপজেলা চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে আটক করা আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলিও ছুড়েছে। সংঘর্ষে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
শনিবার (৮ জুন) রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার চাতরি-চৌমুহনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়, সংঘাতে জড়িতরা অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়েশা খানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
এর আগে, শুক্রবার (৭ জুন) বিকালে একই উপজেলার আনোয়ারা সেন্টার এলাকায় বাজেটকে স্বাগত জানানোর পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও বর্তমান অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ১৮ জন আহত হয়। এই ঘটনায় কর্ণফুলী থানায় একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলার আসামিদের ধরতে কর্ণফুলী ও আনোয়ারা থানা পুলিশ যৌথভাবে শনিবার রাতে অভিযানে গেলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নগর পুলিশের বন্দর জোনের উপকমিশনার শাকিলা সোলতানা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামি মোজাম্মেলকে ধরতে রাতে অভিযানে নামে পুলিশ। আনোয়ারার টানেলের প্রবেশমুখে ভোজনবাড়ি নামে একটি রেস্টুরেন্টের সামনে যায় পুলিশ। সেখানে আগে থেকে মোজাম্মেলসহ আরও অনেক নেতাকর্মী অবস্থান করছিলেন। মোজাম্মেলকে আটক করতে গেলে বাধার সম্মুখীন হয় পুলিশ। এ সময় সদ্যনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে শত শত নেতাকর্মী মিলে আসামি মোজাম্মেলকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে পুলিশ ও পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ পাঁচ-ছয় রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হামলায় আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহমেদ ও কর্ণফুলী থানার ওসি জহির হোসেনসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।