নওগাঁ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২৪ ১১:২৪ এএম
বিকল্প কোনো চালক বা ব্যবস্থা না থাকায় অ্যাম্বুলেন্সের সেবা এখন বন্ধ রয়েছে।
নওগাঁর বদলগাছি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সের চালক অসুস্থতার কারণে ছুটিতে রয়েছেন। তার বিকল্প চালক না থাকায় রোগী পরিবহন করা নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন লোকজন। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে অ্যাম্বুলেন্সটি গ্যারেজে অলস পড়ে আছে। এতে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, অ্যাম্বুলেন্স চালক মো. সেলিম শেখ গত মাসে রোগী নিয়ে বগুড়া যাওয়ার পথে মেরুদণ্ডে আঘাত পান। চিকিৎসক তাকে বিশ্রামে থাকতে বলেন। শুরুতে তিনি গত মাসের ৫ তারিখ থেকে এক মাসের ছুটি নেন। পরে সুস্থ না হওয়ায় তার ছুটি আরও এক মাস বৃদ্ধি করা হয়। সব মিলিয়ে দুই মাস তিনি ছুটিতে থাকবেন। হাসপাতালে বিকল্প কোনো চালক নেই। একজন চালকই অ্যাম্বুলেন্সের সেবা দিয়ে আসছিলেন। তাই দুই মাস রোগীরা অ্যাম্বুলেন্সের সেবা পাচ্ছেন না।
হাসপাতালে আসা একাধিক রোগী ও তাদের স্বজনরা জানিয়েছেন, বিকল্প কোনো চালক বা ব্যবস্থা না থাকায় অ্যাম্বুলেন্সের সেবা এখন বন্ধ রয়েছে। ফলে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সে বা অন্য কোনো গাড়িতে রোগী পারিবহনে দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গরিব ও দুস্থ রোগীদের।
তারা আরও জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গুরুতর রোগীদের স্থানান্তর করা হয় নওগাঁ ও বগুড়া হাসপাতালে। এমনকি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও নিয়ে যেতে হয়। সুযোগ বুঝে প্রাইভেট মালিকরা সরকারি ভাড়ার তুলনায় অনেক বেশি অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। বিকল্প ব্যবস্থা থাকলে এমনটা হতো না। একজন অসুস্থ হলে অন্যজন সেবা দিতে পারত। মানুষ যেকোনো সময় অসুস্থ হতে পারে। তাই বিকল্প বা অন্য চালক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন তারা।
ছুটিতে থাকা অ্যাম্বুলেন্স চালক মো. সেলিম শেখ বলেন, ‘অসুস্থতাজনিত কারণে বিশ্রামে আছি, তাই সংকট তৈরি হয়েছে। গত ৩২ বছর ধরেই একা সেবা দিচ্ছি। মানুষ তো যেকোনো সময় অসুস্থ হতে পারে। দুজন চালক থাকলে এই সেবা বন্ধ হতো না। এ ছাড়া দুই-তিন মাস পর অবসরে যাব। তখন চালক সংকটের কারণে অ্যাম্বুলেন্সের বিভিন্ন যন্ত্রণাংশ নষ্ট হতে পারে। অবসরে যাওয়ার আগেই যদি নতুন চালক না আসে তাহলে রোগী পরিবহনে ভোগান্তি আরও বাড়বে।’
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কানিস ফারহানা বলেন, ‘আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি অ্যাম্বুলেন্স, চালকও একজন। সে অসুস্থতাজনিত কারণে দুই মাস বেড রেস্টে আছে। চালক নিয়োগের বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। বিষয়টি সিভিল সার্জন মহোদয়কে জানানো হয়েছে।’