সিলেট অফিস
প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২৪ ২০:০৫ পিএম
কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথর। সংগৃহীত ফটো
পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে সৃষ্ট সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সব নদ-নদীর পানির বিপদসীমার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। খুলে দেওয়া হয়েছে জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলো। এক সপ্তাহ পর শুক্রবার (৭ জুন) দুপুর থেকে পর্যটকরা আবার ভ্রমণ করতে পারছেন দর্শনীয় স্থানগুলোতে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শর্তজুড়ে দিয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পর্যটকরা এসব শর্ত মেনে ঘুরার সুযোগ পাবেন।
প্রায় ১০ দিন আগে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়। নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হতে শুরু করে। বন্যায় সিলেটের ১০ উপজেলা ও নগরীর দুই তৃতীয়াংশ প্লাবিত হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে গত ৩০ মে জেলার সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। ৩১ মে থেকে সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়।
সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) শেখ রাসেল হাসান জানান, পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সাত দিন পর শুক্রবার থেকে পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে দশনার্থীদের নিরাপত্তাজনিত নানা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নিদের্শনাগুলো হলো– নৌকায় লাইফ জ্যাকেট থাকতে হবে এবং পর্যটকদের লাইফ জ্যাকেট পরিয়ে ঘাট থেকে নৌকা ছাড়তে হবে; পর্যটকরা কিছুতেই পানিতে নামতে পারবেন না বা পানিতে নেমে সাঁতার কাটতে পারবেন না; ভরা বর্ষা মৌসুমে পর্যটকরা শিশু ও বাচ্চাদের নিয়ে যেন না আসেন সে বিষয়ে তাদের নিরুৎসাহিত করা হলো; পর্যটকরা নৌকায় উঠে হই-হুল্লোড় করতে পারবেন না; নৌকায় সুশৃঙ্খলভাবে বসে থাকতে হবে; মাঝিরা পর্যটকদের সঙ্গে সর্বদা ভালো আচরণ করতে হবে এবং আবহাওয়া পরিস্থিতি অবনতি হলে পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
সিলেটের উল্লেখযোগ্য পর্যটনকেন্দ্রগুলো হচ্ছে– গোয়াইনঘাটের জাফলং, রাতারগুল, বিছানাকান্দি ও সংগ্রামপুঞ্জি ঝর্ণা, কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথর, জৈন্তাপুরের লালাখাল, পান্থুমাই, ডিবির হাওর এবং কানাইঘাটের লোভাছড়া।
জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, দর্শনার্থীদের জন্য পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলো দেওয়া হয়েছে। তবে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অবশ্যই মেনে চলতে হবে। বিশেষ করে নৌকায় পর্যটকদের লাইফ জ্যাকেট থাকতে হবে।