খুলনা অফিস
প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২৪ ২২:৩৩ পিএম
খুলনার রূপসা উপজেলার কুদির বটতলায় ফকিরহাট সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খান জাহিদ হাসান ও গাড়িচালক মুন্না ডাবল মার্ডার মামলার প্রধান আসামিসহ ১১ জনকে বেকসুর খালাস ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার আসামি মো. আলমগীর হোসেন ওরফে বাঘাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুরে খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতের বিচারক তাসনিম জোহরা এই রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামিরা কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৮ মে খুলনা থেকে ফকিরহাটে যাওয়ার সময় রূপসা উপজেলার কুদির বটতলায় অজ্ঞাত অস্ত্রধারীদের হাতে খুন হন ফকিরহাট সদর ইউপি চেয়ারম্যান খান জাহিদ হাসান ও গাড়িচালক মুন্না। এ ঘটনায় নিহত খান জাহিদের স্ত্রী শিরিনা আক্তার কিসলু বাদী হয়ে ফকিরহাট থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি শেখ হারুন অর রশিদ, তার শ্যালক রনিসহ ১২ জনের নামে মামলার চার্জশিট প্রদান করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুধু নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রকৃত আসামিদের বাদ দিয়ে যুবলীগ নেতা হারুনসহ অন্যদের আসামি করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনায় সাক্ষীদের সাক্ষ্য ও যুক্তিতর্কে এবং জেরায় আসামি বাঘার নাম ছাড়া অন্যদের ঘটনায় সম্পৃক্ততা না থাকার বিষয় উঠে আসে। মামলা থেকে খালাসপ্রাপ্তরা হলেনÑ ফকিরহাট উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি হারুনর রশীদ, সদস্য আবুল বাসার, জিল্লুর রহমান ও আজাদ, বাগেরহাট সদরের মেহেদী হাসান রনি, মো. আলী হোসেন ওরফে বাবলু ও গোলাম হোসেন ওরফে ডালিম, ফকিরহাটের সাবাজ মোল্লা, শেখ জিন্নাত আলী, শেখ মোহাম্মদ আলী ও আব্দুর রহমান।
মামলার রায় শেষে সাবেক যুবলীগ নেতা হারুন অর রশিদ জানান, ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমার শক্ত অবস্থানকে দুর্বল করতে মামলার মুল আসামিদের বাদ দিয়ে প্রতিপক্ষ হিসেবে আমার নামসহ গ্রামের নিরীহ অনেকের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। আদালত সঠিক বিচার করেছেন। তিনি আদালতের রায়ে সন্তষ্টি প্রকাশ করেন। তবে বাদির পুত্র আদালতে থাকলেও তিনি এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।