জবি শিক্ষার্থীর আত্মহনন
কুমিল্লা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৪ ১২:৫৬ পিএম
আপডেট : ০৩ জুন ২০২৪ ১২:৫৭ পিএম
সোমবার সকালে নগরীর বাগিচাগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে করেন অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম। প্রবা ফটো
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরোজ সাদাত অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলার দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির সাত দিনের মধ্য তদন্ত রিপোর্ট দেওয়ার কথা থাকলেও আড়াই মাস অতিবাহিত হলেও তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়নি বলে অভিযোগ অবন্তিকার মায়ের। এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর কাজী দীন ইসলাম জামিনে মুক্ত হয়ে মামলাটিতে প্রভাব বিস্তার করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনতাবস্থায় বিচার নিয়ে শঙ্কিত অবন্তিকার মা প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চেয়েছেন।
সোমবার (৩ জুন) সকাল ১০টার দিকে কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে করেন অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম। এ সময় তিনি বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকতাসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অবন্তিকার আত্মহত্যা মামলার বিষয়ে উদাসীন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত অবন্তিকার মামলার আইনজীবী মাসুদ সালাউদ্দিন বলেন, আইনের যথাযথ ধারায় মামলাটি রেকর্ড হয়নি। মামলাটি এখন ডিপ ফ্রিজে আছে। আমরা চাই মামলাটি যথাযথ গুরুত্ব সহকারে তদন্ত হোক। এ মামলায় যারা আসামি তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। মামলার অন্যতম আসামি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দীন ইসলাম জামিনে এসে মামলাটিতে প্রভাব বিস্তার করছে।
এর আগে গত ১৫ মার্চ রাতে প্রক্টর দীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মানকে দায়ী করে চিরকুট লিখে নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন অবন্তিকা। আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মা তাহমিনা শবনম বাদি হয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামসহ বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।