যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনা
নোয়াখালী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৪ ২২:০৮ পিএম
নোবিপ্রবি শিক্ষিকা ড. সালমা আক্তার, তার স্বামী ডা. সাইফুল আমিন এবং তাদের সন্তান অনিন্দ। ফাইল ফটো
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে ট্রাক ও প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষিকা ড. সালমা আক্তার ও তার স্বামী ডা. সাইফুল আমিন গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহত হয়েছে তাদের ১১ মাস বয়সী একমাত্র ছেলে অনিন্দ।
গত মঙ্গলবার (২৮ মে) টেক্সাসের সান পাট্রিসিয় কাউন্টি শহরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বর্তমানে ড. সালমা আক্তার স্থানীয় একটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। তার স্বামীও হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ড. সালমা আক্তার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। তিনি জাপানে পিএইচডি শেষ করে ২০২২ সালে পোস্টডকের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে যান। তিনি সেখানকার সান আন্তিনো শহরে স্বামী-সন্তান নিয়ে থাকতেন।
সালমার সহকর্মী ও যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা পপি দেবনাথ বলেন, সালমার সঙ্গে আমার সবসময় কথা হতো। সে আমাকে জানিয়েছিল ঘুরতে বের হবে। ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে তারা তিনজনই আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসক তার সন্তান অনিন্দকে মৃত ঘোষণা করেন এবং সালমাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করেন।
নোবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ বলেন, সালমা আক্তার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম ব্যাচের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৮ সালে তিনি শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। ২০১৯ সালে জাপানে পিএইচডি করতে যান। সেখান থেকে পিএইচডি শেষ করে ২০২২ সালে পোস্টডক করতে যুক্তরাষ্ট্রে যান। সালমা আক্তারের এমন দুর্ঘটনায় আমরা মর্মাহত। তার সুস্থতা কামনা করছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী এবং পরবর্তীতে শিক্ষক হওয়ায় সালমা আক্তারের এমন দুর্ঘটনায় আমরা সবাই শোকাহত। এই মুহূর্তে তার স্বামীর সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম বলেন, সালমা আক্তারের একমাত্র সন্তানের মৃত্যু ও ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় আমরা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি। সালমা আক্তার ও তার স্বামী সাইফুল আমিনের সুস্থতা কামনা করছি। আমরা সবসময় তার পাশে আছি।