কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ মে ২০২৪ ২০:৪০ পিএম
আপডেট : ২৮ মে ২০২৪ ২১:০২ পিএম
মেঘনা নদীর তীররক্ষা বাঁধের কয়েকটি স্থানে ধস নেমেছে। প্রবা ফটো
ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার বড়খেরি এলাকার মেঘনা নদীর তীররক্ষা বাঁধের কয়েকটি স্থানে ধস নেমেছে। বাঁধটি পুরো ক্ষতিগ্রস্ত হলে রামগতি বাজার ভাঙন ঝুঁকিতে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অবশ্য যেসব স্থানে ধসে পড়েছে, তা মেরামতের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন নৌ-পুলিশ সদস্যরা। তারা ভাঙন ঠেকাতে বিধ্বস্ত স্থানে জিওব্যাগ ও ব্লক বসিয়েছেন।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এই উপকূলীয় এলাকায় রবিবার (২৬ মে) রাত থেকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। সঙ্গে দমকা হাওয়া। মঙ্গলবার (২৮ মে) রাত ৮টায় প্রতিবেদন লেখার সময়ও ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস ছিল।
জানা গেছে, নদীর পানি বেড়ে জোয়ারের আঘাতে মেঘনা নদীর তীররক্ষা বাঁধে অন্তত দশটি গর্ত হয়েছে। জোয়ারের তীব্রতা থাকায় পুরোপুরি বিধ্বস্ত হওয়ার ঝুঁকির আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে রামগতি বাজারে মেঘনার তীররক্ষা বাঁধে ধস নেমেছে। এতে বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করলে যেকোনো সময় রামগতি ডুবে যাবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আমজাদ হোসেন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘বিষয়টি তৎক্ষণাৎ সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছি। ইতোমধ্যে তারা কাজ শুরু করেছে।’
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজ জামান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমরা ধসে পড়া বাঁধের কাজ শুরু করে দিয়েছি।’
রামগতি উপজেলার বড়খেরি নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ‘জোয়ারের তোড়ে বাঁধের মাটি সরে গেছে। বাঁধটি রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে আমরা সহযোগিতা করছি। আমাদের নৌ-পুলিশের সদস্যরা বাঁধ মেরামতে কাজ করছেন। বাঁধের বিধ্বস্ত স্থানে জিওব্যাগ ও ব্লক বসানো হয়েছে।’