রাজধানী থেকে নাগরিক সাংবাদিক অমিত দে
প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২২ ২১:৪৮ পিএম
আপডেট : ০৮ অক্টোবর ২০২২ ২২:৪১ পিএম
রোটারি বর্ষের শততম দিবস উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান হয়েছে।
শনিবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে যোগ দেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা রোটারিয়ানরা।
সভায় বক্তব্য রাখেন ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর এমএ ওয়াহাব, সাবেক গভর্নর খায়রুল আলম, মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী, গভর্নর (নির্বাচিত) আশরাফুজ্জামান নান্নু, গভর্নর (নমিনি) ইব্রাহিম খলিল আল জায়াদ পিনাক, ডিস্ট্রিক্ট সেক্রেটারি জেনারেল আরিফ জেবতিক প্রমুখ। মূল্যায়ন সভা পরিচালনা করেন ইভেন্ট চেয়ারম্যান সিপি জহুরুল ইসলাম।
সভায় এমএ ওয়াহাব জানান, চলতি বছর স্থানীয় পর্যায়ে ডিস্ট্রিক্ট গভর্নরের স্লোগান, ‘এভরি আওয়ার রোটারি কেয়ার’ বা ‘প্রতি ঘণ্টায় রোটারির সেবা’ স্লোগানে উদ্বুদ্ধ হয়ে রোটারি ক্লাবগুলো ব্যাপক কর্মতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। গত জুলাই থেকে গড়ে প্রতি মাসে ৩০০টির ওপর সেবা কার্যক্রমে কমপক্ষে ৩০ লাখ টাকা করে ব্যয় হচ্ছে।
ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর আরও জানান, ক্লাবগুলোর সেবা কার্যক্রম গতিশীল করতে তিনি প্রথম ১০০ দিনে প্রায় ২০০ ক্লাব পরিদর্শন করেছেন। গড়ে প্রতিদিন দুটির বেশি ক্লাব পরিদর্শনের এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
৭ লাখ আমেরিকান ডলারের সমপরিমাণ অর্থ রোটারি ফাউন্ডেশনে দানের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ছাড়াও প্রায় ৫ লাখ ডলার মূল্যের গ্লোবাল গ্রান্ট অনুমোদিত হয়েছে, যার মাধ্যমে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল স্থানীয় ক্লাবগুলোকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রজেক্ট পরিচালনা করবে।
চলতি বছর প্রথম ৪০ দিনের মধ্যে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট জেনিফার জোন্স ও সাবেক প্রেসিডেন্ট হলগার না-এর বাংলাদেশ ভ্রমণ বিরল ঘটনা বলে বক্তাদের আলোচনায় উঠে আসে। এতে বলা হয়, এর আগে কোনো রোটারি ইন্টারন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট বছরের শুরুতে বাংলাদেশ ভ্রমণ করেননি।
ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর এমএ ওয়াহাব বলেন, বদলে যাওয়া বিশ্বপরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে রোটারিকে আরও বেশি অভিযোজন ও পরিবর্তনশীল হতে হবে। পরিবেশ রক্ষার প্রত্যয় হিসেবে এ বছর ডিস্ট্রিক্ট ডিরেক্টরি, ওসিভি ডকুমেন্ট, জিএমএলের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনাগুলোকে ডিজিটালাইজ ও গভর্নর অফিসকে পেপারলেস করার কর্মসূচি চালু হয়েছে।
বিশ্বশান্তির প্রত্যয়ে রোটারির চিরন্তন প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে গভর্নর বলেন, ইউক্রেন সংকটে বাংলাদেশের রোটারিয়ানরা সহায়তা করতে উদগ্রীব, কিন্তু বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এ মুহূর্তে বাংলাদেশ থেকে আর্থিক সহায়তা পাঠানোর বিধিনিষেধকে রোটারি বাংলাদেশ সম্মান করে চলবে।