ঢাকা থেকে নাগরিক সাংবাদিক জিয়াউল জিয়া
প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২৩ ১৫:২৩ পিএম
আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২৩ ১৫:৩৭ পিএম
সিআইপিআরবি আয়োজিত সেমিনারের বক্তারা। ছবি : সংগৃহীত
প্রতিদিন গড়ে ৫০ জন মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায়। এরমধ্যে ৪০ জনই শিশু। প্রতিটি জীবনই অপার সম্ভাবনাময় এবং এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য।
তাই পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে জাতীয় নীতিমালা কার্যকরের আহ্বান জানানো হয়েছে সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি) আয়োজিত সেমিনারে।
সোমবার (২৪ জুলাই) সিরডাপ মিলনায়তনে ‘পানিতে ডুবে যাওয়া প্রতিরোধ কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব পানিতে ডোবা প্রতিরোধ দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের (স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ) সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং সিআইপিআরবির ডিরেক্টর ড. আমিনুর রহমান। তিনি জানান, পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধের গুরুত্ব বিবেচনা করে, ২৫ জুলাইকে ‘বিশ্ব পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে জাতিসংঘ। এরই ধারাবাহিকতায়, গত বছরের ২৯ মে ওয়ার্ল্ড হেলথ এসেম্বলি প্রথমবারের মতো পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধকে রেজ্যুলেশন হিসেবে গ্রহণ করেছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘বাংলাদেশে শিশু মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ পানিতে ডুবে যাওয়া। এই মৃত্যু প্রতিরোধ করা সম্ভব, যা আমাদের দেশের গবেষকরাই গবেষণা করে বের করেছেন। এখন জাতীয় পর্যায়ে এই পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করার সময় এসেছে। পানিতে ডুবে মৃত্যু রোধে একটি জাতীয় পর্যায়ের কর্মপন্থা (ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি) তৈরির কাছাকাছি রয়েছি আমরা, যা বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার উদ্যোগ নিতে হবে।’
সিআইপিআরবির এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর প্রফেসর একেএম ফজলুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে ২০০৫ সাল থেকে কাজ করছে সিআইপিআরবি। এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য, ‘পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে একটি কাজ করব, একটি কাজের উন্নয়ন করব এবং একটি কাজের সঙ্গে যুক্ত হব।’
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল ফয়েজ, নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, ইউনিসেফ, বাংলাদেশ চাইল্ড প্রোটেকশন প্রধান মিস নাটালি ম্যাককুয়েলি, ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের নন কমিউনিকেবল ডিজিজ অ্যান্ড মেন্টাল হেলথ টিম লিড ড. সাধনা ভাগওয়াত প্রমুখ।