ঢাকা থেকে নাগরিক সাংবাদিক জিয়াউল জিয়া
প্রকাশ : ১২ জুন ২০২৩ ১৭:৩৪ পিএম
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অর্থ ইউনিটের সভাকক্ষে রবিবার প্রকল্প পরিচিতি সভা চলছে। ছবি : সংগৃহীত
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশের পাঁচ জেলায় আঞ্চলিক ভাষায় পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক অডিও ভিজ্যুয়াল উপকরণ তৈরীর কার্যক্রম গ্রহণ করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সিরাক-বাংলাদেশ।
ইউএসআইডি’র অর্থায়নে জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিগরি সহায়তায় ‘নলেজ সাকসেস’-শীর্ষক ওই প্রকল্পটির কার্যক্রম চলতি বছরের অক্টোবর মাস পর্যন্ত চলবে বলে জানা গেছে।
রবিবার পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অর্থ ইউনিটের সভাকক্ষে প্রকল্প পরিচিতি সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। প্রকল্পটির গুরুত্ব ও উদ্দেশ্য বিবেচনায় এমসিএইচ-সার্ভিসেস ইউনিটের উদ্যোগে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় সিরাক-বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এসএম সৈকত জানান, ২০৩০ সালের মধ্যে সকল মানুষের দোরগোড়ায় পরিবার পরিকল্পনা ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরিষেবা পৌঁছে দিতে সরকার কাজ করছে। সরকারের পাশাপাশি এই উন্নয়ন পরিকল্পনা আরো ত্বরান্বিত করতে দেশের চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, বরিশাল, ও রাজশাহী জেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
সভাপতির বক্তব্যে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের এমসিএইচ-সার্ভিসেস ইউনিটের পরিচালক (এমসিএইচ-সার্ভিসেস) ও লাইন ডাইরেক্টর (এমসি-আরএএইচ) ডাঃ মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী এবং সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে ক্যাম্পেইন কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি, সঠিক তথ্যের সহজলভ্যতা ও সেবাগ্রহণে তাদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে উৎসাহিত করবে। যা দ্বারা সুবিধাবঞ্চিত কিশোর-কিশোরী, তরুণদের মধ্যে সচেতনতা স্বাস্থ্য অধিকার বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে এবং প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সেবা ও সঠিক তথ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে।
সিরাক-বাংলাদেশের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার নুসরাত শারমিন রেশমার বিষয়ভিত্তিক প্রকল্প উপস্থাপনায় ৫টি বিভাগে আঞ্চলিক ভাষায় অডিও ভিজ্যুয়াল তৈরির মাধ্যমে কিভাবে প্রকল্পটি পরিচালিত হবে তা বিশ্লেষণ করা হয়।
সভায় উপস্থিত থেকে দুইজন ভলেন্টিয়ার পিয়ার লিডার-মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, সদর, নারায়ণগঞ্জ থেকে আগত নবী নেওয়াজ সাকিব এবং মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, সদর, ময়মনসিংহ থেকে মোঃ রবিন মিয়া ইউএসআইডি প্রকল্পে 'পুঁথি' সংযোজনের ফলে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কিশোর-কিশোরীদের উপস্থিতির হার বৃদ্ধি এবং তাদের বিপুল পরিমাণে সাড়া প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ক্লিনিক্যাল কন্ট্রাসেপশন সার্ভিসেস ডেলিভারী প্রোগ্রাম ইউনিটের লাইন ডাইরেক্টর (ক্লিনিক্যাল কন্ট্রাসেপশন সার্ভিসেস ডেলিভারী) ডাঃ নুরুন নাহার বেগম, এমসিএইচ সার্ভিসেস ইউনিটের (এ এন্ড আরএইচ) প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডাঃ মোঃ মনজুর হোসেন, আইইএম ইউনিটের উপ-পরিচালক শাহনাজ পারভীন, পরিবার পরিকল্পনা ও এসআরএইচ বিশেষজ্ঞ ডাঃ জেবুন নেসা রহমান, পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনাল এর ইউএসএআইডি সুখী জীবন প্রকল্পের অ্যাডোলেসেন্ট বিহেবিহার চেঞ্জ ম্যানেজার মোঃ সোহরাব হোসেন, ইউএনএফপিএ বাংলাদেশ এর ডাঃ আজাদ রহমান, আইপাস বাংলাদেশ এর আইএসআরএইচআরডি প্রজেক্ট ম্যানেজার ডাঃ জিয়াউল আহসান প্রমূখ।
প্রকল্পটি কিভাবে বাস্তবায়ন করলে কিশোর-কিশোরীদের পরিবার পরিকল্পনা বিষয়কর তথ্য প্রাপ্তিতে সহায়তা হবে বক্তারা সে বিষয়ে অভিমত দেন।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিরাক-বাংলাদেশরর প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট লুৎফা পাঠান, কমিনিকেশন অ্যাসোসিয়েট মোঃ কামরান মিয়া ও ফিন্যান্স ও অ্যাডমিন অ্যাসোসিয়েট ফারুক আহমেদ।
উল্লেখ্য, সিরাক-বাংলাদেশ ইতিমধ্যে পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনালের সহায়তায় অপর একটি প্রকল্প- ইউএসআইডি'র সুখী জীবন এর অধীনে কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক একটি 'পুঁথি' তৈরী করেছে। যা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, উল্লেখিত জনগোষ্ঠী, শিক্ষক, বেসরকারী সংগঠন (এনজিও), সংশ্লিষ্ট সরকারী প্রতিনিধিদের যথা: বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও অন্যান্য সরকারী কর্মকর্তাদের দ্বারা সমাদৃত হয়েছে।
কমিউনিটিকে সম্পৃক্তকরণের জন্য নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণ এলাকায় কিশোর-কিশোরী ও তরুণদের সচেতন করার বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন।