বরিশাল থেকে নাগরিক সাংবাদিক জিয়াউল জিয়া
প্রকাশ : ১০ মে ২০২৩ ১৬:৪৪ পিএম
আপডেট : ১০ মে ২০২৩ ১৭:১৫ পিএম
বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার এবং ডিজিটালাইজেশনের কাজ সম্পন্ন হওয়ার আনন্দে সমবেত বানারীপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি : সংগৃহীত
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে চাকরির বাজারের কথা বিবেচনা করে ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল একাডেমি অ্যান্ড সেন্টার অব এক্সিলেন্স গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই ধারাবাহিকতায় দেশে প্রথম বরিশালের বানারীপাড়া ও উজিরপুর উপজেলার সবগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার এবং ডিজিটালাইজেশনের কাজ শেষ হয়েছে।
জানা যায়, বানারীপাড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১২৬টি এবং উজিরপুরে ১৮১টি।
এ ছাড়া সবগুলো মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজেও কাজ শেষ হয়েছে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার ও ডিজিটালাইজেশনের।
শতভাগ ডিজিটালাইজেশনের মধ্য দিয়ে বানারীপাড়া ও উজিরপুরের শিক্ষার্থীরা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে চাকরির বাজারে নিজেদের আরও যোগ্য করে গড়ে তুলতে পারবেন বলে মনে করেন বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য শাহে আলম।
এদিকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার স্থাপনের মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলের শিশুদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যেমন তৈরি হবে, আগামীর বাংলাদেশ একটি সঠিক মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের মধ্যে বেড়েও উঠবে বলে মন্তব্য করেছেন বানারীপাড়া প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
তিনি বলেন, ‘ডিজিটালাইজেশনের ফলে প্রতিটি স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করে যতটা স্মার্ট শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়, তাই আমাদের লক্ষ্য। আমার ৭০টি স্কুলে মডেম ও ননস্টপ ডেটা প্যাকেজ দিয়েছে সরকার, বাকিগুলোতে ডিভাইস না পেলেও প্রতি মাসের ইন্টারনেট খরচ দিয়ে যাচ্ছে সরকার।’
বরিশাল জেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন বলেন, ‘বানারীপাড়াকে শতভাগ ডিজিটালাইজেশন বলতে পারেন, আর উজিরপুরে ৯০ শতাংশ বলতে পারেন, সেখানে অবকাঠামোর জন্যই বাকি কাজ সম্ভব হয়নি। আমাদের এমপি (শাহে আলম) শিক্ষানুরাগী। তিনি নিজে বঙ্গবন্ধুর জন্ম থেকে এখন পর্যন্ত তাকে নিয়ে লেখা, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এবং শেখ রাসেলকে নিয়ে লেখা অনেক বই সংগ্রহ করে দিয়েছেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে তিনি সরাসরি সহযোগিতা করেছেন বলে দ্রুত সময়ে সব শেষ হয়েছে।’
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাতুল বলে, ‘আমি গুগল করে নাসার ছবি দেখেছি। স্যার আমাকে একদিন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কীভাবে কাজ করে তা-ও দেখিয়েছেন।’
রাতুলের বাবা মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আমি তো ভাবতাম ছেলে স্কুল-কলেজ গ্রামেই শেষ করবে। এখন ও যে স্বপ্ন দেখে বড় হচ্ছে তা আমাকেও নতুন করে ভাবনায় ফেলছে।’
বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. শাহে আলম এমপি বলেন, ‘শিক্ষা নিয়ে সরকারের সামগ্রিক চিন্তার প্রতিফলন হচ্ছে বানারীপাড়া উজিরপুর, আমাদের সন্তানরা তৈরি হচ্ছে বিশ্ব জয়ে, এটাই বড় আনন্দ। আমি যত দিন আছি ওদের স্বপ্নের সঙ্গেই আছি।’
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের টেলিকম অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাঝে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষাকে সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজেশনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।